ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

একটি সবুজ উদ্যানকে যেভাবে ইট-পাথরের জঞ্জালে পরিণত করা হলো

আবু আজাদ | প্রকাশিত: ১০:২৪ এএম, ২২ অক্টোবর ২০২৪

‘২০০২ সালের মার্চের এক শীতের সকালে প্রথমবারের মতো আমি বিপ্লব উদ্যানে এসেছিলাম। বাড়ি ছেড়ে ইট-পাথরের শহরে, এক টুকরো সবুজ আমাকে আপন করে নিয়েছিল। সেই থেকে নিয়ম করে প্রতি সপ্তাহে বিপ্লব উদ্যানে আসতাম। সবুজে ভরা উদ্যানে ফোয়ারার লাল পদ্ম আমাকে টেনে এনেছে ১৬ বছর ধরে। শহরের এক টুকরো স্বস্তির সেই জায়গাটুকু আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে উন্নয়নের নামে।’

শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের ষোলশহর এলাকার ফুটপাতে দাঁড়িয়ে বিষণ্ন কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন বেসরকারি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আদনান।

ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবী নারী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের স্মরণে ১৯৭৯ সালে চট্টগ্রাম নগরের কেন্দ্রস্থল ষোলশহরে দুই একর জায়গার ওপর গড়ে তোলা হয় এই উদ্যান। নাম রাখা হয় ‘বিপ্লব উদ্যান’। উদ্যানটি মহান মুক্তিযুদ্ধের এক মহান স্মারকও। এখান থেকেই ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ মেজর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু হয়।

বিপ্লব উদ্যান ছিল চট্টগ্রামের একমাত্র সবুজ উদ্যান। এক সময় সবুজের সমারোহ ছিল এ উদ্যানে। নানান মৌসুমি ফুলের পাশাপাশি ছিল নারকেল বীথি। উদ্যানের ফোয়ারাগুলোয় ছিল পদ্ম ও শাপলার রাজত্ব। ছিল ছোট ছোট মাছে ভরপুর উন্মুক্ত চৌবাচ্চা। যান্ত্রিক জীবনে একটু স্বস্তির নিশ্বাস নিতে বিকেল হলেই নগরবাসী ছুটে আসতো উন্মুক্ত উদ্যানটিতে।

বিপ্লব উদ্যান ছিল চট্টগ্রামের একমাত্র সবুজ উদ্যান। এক সময় এ উদ্যানে নানান মৌসুমি ফুলের পাশাপাশি ছিল নারকেল বীথি। যান্ত্রিক জীবনে একটু স্বস্তির নিশ্বাস নিতে বিকেল হলেই নগরবাসী ছুটে আসতো উন্মুক্ত উদ্যানটিতে/জাগো নিউজ

বিপ্লব উদ্যান ধ্বংসের প্রথম পদক্ষেপ নেন আ জ ম নাছির

সুন্দর ও স্বস্তিকর এই পরিবেশ ধ্বংসের প্রথম পদক্ষেপটি ছিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) তৎকালীন মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের। ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর রিফর্ম ও স্টাইল লিভিং আর্কিটেক্টস লিমিটেড নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ২০ বছর মেয়াদি অসঙ্গত একটি চুক্তি সম্পাদন করেন তিনি।

এই চুক্তির ফলে সৌন্দর্যবর্ধনের নামে উদ্যানের একপাশে ২০টি দোকান নির্মাণ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দুটি। যারা এখানে হাঁটতে আসতেন, নিরিবিলি সময় কাটাতে আসতেন, তাদের চোখের সামনে বিপ্লব উদ্যান হয়ে উঠল বড়োসড়ো একটি ফুডকোর্ট। দোকানে গানবাজনা আর খদ্দেরদের হই-হল্লায় হারিয়ে গেলো ‘বিপ্লব উদ্যান’ নামটিরও মাহাত্ম্য।

বিপ্লব উদ্যান ধ্বংসের ষোলকলা পূর্ণ হয় রেজাউলের আমলে

সর্বশেষ মেয়র (বর্তমানে অপসারিত) ও নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সময়কালে বিপ্লব উদ্যান ধ্বংসের ষোলকলা পূর্ণ করা হয়। ২০২৩ সালের ২২ আগস্ট নতুন একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। এ চুক্তির অংশ হিসেবে উদ্যানের পূর্ব পাশে দোতলায় ২০০ ফুট দীর্ঘ স্থাপনা নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

বিপ্লব উদ্যান ছিল চট্টগ্রামের একমাত্র সবুজ উদ্যান। এক সময় এ উদ্যানে নানান মৌসুমি ফুলের পাশাপাশি ছিল নারকেল বীথি। যান্ত্রিক জীবনে একটু স্বস্তির নিশ্বাস নিতে বিকেল হলেই নগরবাসী ছুটে আসতো উন্মুক্ত উদ্যানটিতে/জাগো নিউজবিপ্লব উদ্যান ছিল চট্টগ্রামের একমাত্র সবুজ উদ্যান। এক সময় এ উদ্যানে নানান মৌসুমি ফুলের পাশাপাশি ছিল নারকেল বীথি। যান্ত্রিক জীবনে একটু স্বস্তির নিশ্বাস নিতে বিকেল হলেই নগরবাসী ছুটে আসতো উন্মুক্ত উদ্যানটিতে/জাগো নিউজ

এছাড়া উদ্যানের পূর্ব পাশে জাতীয় পতাকার আদলে ২০০ ফুট দীর্ঘ ও ৫০ ফুট প্রস্থের কাঠামো নির্মাণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। চুক্তি অনুসারে এই স্থাপনার ওপর, নিচ ও দুই পাশে পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের লোগো প্রদর্শন করতে পারবে।

শুধু তা-ই নয়, নতুন চুক্তি অনুযায়ী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানটি উদ্যানে বিলবোর্ড, মেগাসাইন, এটিএম বুথ, কিয়স্ক, প্রদর্শনী কেন্দ্র, কিডস এক্সপেরিয়েন্স বা গেমিং জোন স্থাপন করার সুযোগ পায়। গেমিং জোনের আয়তন হবে ১ হাজার ৩০০ বর্গফুট।

এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে এক সময়ের সবুজ উদ্যানটি ইট-পাথরের জঞ্জালে পরিণত করা হয়েছে। এখন উদ্যানে বাকি সব থাকলেও, শুধু নেই মানুষের শ্বাস নেওয়ার জায়গা।

‘প্রয়োজন হলে আমাদের দোকানগুলো ভেঙে ফেলেন, তবু সবুজ রক্ষা করেন। এখানে নতুন নতুন স্থাপনা হলে এটি আর উদ্যান থাকবে না, বাজারে পরিণত হবে।’- বিপ্লব উদ্যান দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হমায়ূন কবির

বিপ্লব উদ্যান যেন ধ্বংসস্তূপ

গত শুক্রবার বিপ্লব উদ্যানে গিয়ে দেখা যায়, এ যেন কোনো ধ্বংসস্তূপ। উদ্যানের মাঝখানে বিপ্লবের স্মারক ভাস্কর্যটি নিঃসঙ্গ একা দাঁড়িয়ে। চারপাশে ইট-পাথর ছড়িয়ে আছে। উদ্যানে নতুন করে স্থাপনা নির্মাণের জন্য ভরাট করা হয়েছে পানির ফোয়ারা। ভেঙে ফেলা হয়েছে গ্লাস টাওয়ারও। চারপাশের সীমানা প্রাচীরের অস্তিত্ব নেই, উদ্যানের তিন পাশই উন্মুক্ত। পুলিশ সুপারের অফিসের পাশে ঝোপ হয়ে থাকা অংশে আড্ডা দিচ্ছিল কিছু বখাটে। উদ্যানে সবুজ নেই, বাগান নেই, গাছপালা নেই। দোকানসহ নানা ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ ও নতুন করে নির্মাণসামগ্রী রাখার কারণে উদ্যানের সবুজ ও উন্মুক্ত পরিসর একেবারে নেই হয়ে গেছে।

একটি সবুজ উদ্যানকে যেভাবে ইট-পাথরের জঞ্জালে পরিণত করা হলো

বিপ্লব উদ্যান দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হমায়ূন কবির বলেন, ‘চট্টগ্রামে এমনিতেই সবুজের পরিমাণ কম। তাই বিপ্লব উদ্যানে দোকান দিয়ে আমরা নিজেরাই বিব্রত। এখানে যাতে আবার নতুন করে কোনো দোকানপাট না হয়, সে জন্য অনেকবার দাবি জানিয়েছি। কিন্তু সাবেক মেয়র অবকাঠামো নির্মাণে অনড় ছিলেন। প্রয়োজন হলে আমাদের দোকানগুলো ভেঙে ফেলেন, তবু সবুজ রক্ষা করেন। এখানে নতুন নতুন স্থাপনা হলে এটি আর উদ্যান থাকবে না, বাজারে পরিণত হবে।’

‘বিপ্লব উদ্যান একটি ঐতিহাসিক স্থান। মানুষের মনে স্বাধীনতার স্মৃতি জাগ্রত রাখতে বিপ্লব উদ্যান করা হয়েছিল। কিন্তু পরে ক্রমাগতভাবে উদ্যানের পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। জেনেছি নতুন প্রকল্প হলে সিটি করপোরেশন বছরে ১০ লাখ টাকা করে পাবে। আসলে টাকার কাছে নতজানু হওয়ায় এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।’- অধ্যাপক মুহাম্মদ সিকান্দার খান

বিপ্লব উদ্যানে কংক্রিটের অবকাঠামো অন্তত ৫৫ শতাংশ

ইমারত নির্মাণ বিধিমালা অনুযায়ী, উদ্যানে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশের বেশি কংক্রিট অবকাঠামো থাকতে পারবে না। আর আন্তর্জাতিকভাবে ২ শতাংশও অনুমোদন করে না। কিন্তু চট্টগ্রাম নগরের দুই নম্বর গেটের বিপ্লব উদ্যানের কংক্রিট অবকাঠামোর পরিমাণ অন্তত ৫৫ শতাংশ।

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. শাহ জালাল মিশুকের নেতৃত্বে ‘চট্টগ্রাম নগরীর পার্ক ও ওপেন স্পেস’ সম্পর্কিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, দোকান ছাড়া বিপ্লব উদ্যানে কংক্রিটের অবকাঠামো ৫৫ থেকে ৬০ শতাংশ। দোকানসহ তার পরিমাণ ৬৫ থেকে থেকে ৭০ শতাংশ। এখানে সবুজ আছে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ। সবুজ অংশের ভেতরে রয়েছে কিছু বড় গাছ এবং কিছু আর্টিফিসিয়াল গাছ ও ঘাস।

এ গবেষণার পর দ্বিতীয় ধাপে বেশ কিছু অবকাঠামো গড়ে তোলা হয় বিপ্লব উদ্যানে। ফলে সেখানে সবুজের পরিমাণ আরও কমেছে। সাবেক মেয়র রেজাউলের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে উদ্যানে উন্মুক্ত পরিসর ও সবুজ পরিবেশ বলে কিছুই থাকবে না।

পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরামের সভাপতি ও প্রবীণ অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মুহাম্মদ সিকান্দার খান বলেন, ‘দুই নম্বর গেটের বিপ্লব উদ্যান একটি ঐতিহাসিক স্থান। মানুষের মনে স্বাধীনতার স্মৃতি জাগ্রত রাখতে বিপ্লব উদ্যান করা হয়েছিল। কিন্তু পরে ক্রমাগতভাবে উদ্যানের পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। জেনেছি নতুন প্রকল্প হলে সিটি করপোরেশন বছরে ১০ লাখ টাকা করে পাবে। আসলে টাকার কাছে নতজানু হওয়ায় এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।’

‘বিপ্লব উদ্যান একটা নাগরিক গণপরিসর। আমাদের চাওয়া গণপরিসরকে সম্পূর্ণভাবে গণপরিসরই রাখা হোক। আমরা চাই না কোনোভাবেই এখানে কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান তৈরি করা হোক। বিপ্লব উদ্যানে পরিপূর্ণভাবে প্রাকৃতিক যে পরিবেশ ছিল সেভাবে ফিরিয়ে আনতে হবে।’- অধ্যাপক মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান

সব ধরনের বাণিজ্যিক স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার দাবি

এ অবস্থায় গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিপ্লব উদ্যান থেকে সব ধরনের বাণিজ্যিক স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার দাবি ওঠেছে। আগে যে প্রাকৃতিক পরিবেশে বিপ্লব উদ্যান ছিল সেই অবস্থায় ফিরিয়ে আনার দাবি উঠেছে নগরবাসীর পক্ষ থেকে।

এছাড়া দ্বিতীয় দফায় চলা স্থাপনা নির্মাণ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিতে গত ৫ সেপ্টেম্বর চসিকের প্রধান নির্বাহী, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) নির্বাহী প্রকৌশলী ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষককে পৃথক তিনটি চিঠি দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

চিঠিতে বলা হয়, বিপ্লব উদ্যানে দ্বিতীয় দফায় সৌন্দর্য বর্ধনের নামে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের অবৈধ স্থাপনা নির্মাণসহ বৃক্ষ নিধন কাজ চলমান। স্থাপনা নির্মাণের ফলে উদ্যান এলাকার পরিবেশ ও প্রতিবেশ ব্যবস্থার অবক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এ বিষয়ে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়।

একটি সবুজ উদ্যানকে যেভাবে ইট-পাথরের জঞ্জালে পরিণত করা হলো

বিপ্লব উদ্যান রক্ষায় ৬ দফা দাবিতে গত ১৩ সেপ্টেম্বর ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা অধিকার রক্ষা পরিষদ’র ব্যানারে দুই নম্বর গেট মোড়ে সমাবেশ ও মিছিল হয়েছে। এতে বিপ্লব উদ্যানের সবুজ ধ্বংস করে চসিকের স্থাপনা নির্মাণ ও বাণিজ্যিকীকরণের চুক্তি বাতিল করা এবং উদ্যানের হারিয়ে যাওয়া সবুজ ফিরিয়ে আনার দাবি করা হয়।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান বলেন, ‘চট্টগ্রামে দিন দিন উন্মুক্ত পরিসরের পরিমাণ কমছে। এ অবস্থায় যেখানে উন্মুক্ত পরিসর বৃদ্ধি করা প্রয়োজন, সেখানে সিটি করপোরেশন বিদ্যমান উদ্যানগুলো বাণিজ্যিকীকরণ করছে। বারবার অনুরোধ করলেও তা উপেক্ষা করে বিপ্লব উদ্যানকে ধ্বংস করা হয়েছে।’

‘বিপ্লব উদ্যান একটা নাগরিক গণপরিসর। আমাদের চাওয়া গণপরিসরকে সম্পূর্ণভাবে গণপরিসরই রাখা হোক। আমরা চাই না কোনোভাবেই এখানে কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান তৈরি করা হোক। বিপ্লব উদ্যানে পরিপূর্ণভাবে প্রাকৃতিক যে পরিবেশ ছিল সেভাবে ফিরিয়ে আনতে হবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘পরিবেশ অধিদপ্তর ছাড়াও ছাত্র-জনতা ও সুশীল সমাজ থেকে আমরা অনেকগুলো আবেদন পেয়েছি। এক্ষেত্রে প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশনা হচ্ছে বসে সবার মতামত নেওয়া। পরিবেশবাদী ও নগরপরিকল্পনাবিদসহ সবার মতামত এবং আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে যে সিদ্ধান্ত আসবে সে আলোকে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এএজেড/এমএমএআর/জিকেএস