ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

‘জালিয়াতি’ তুলে ধরা শিক্ষকের বিরুদ্ধেই মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৬:৪৯ পিএম, ২০ অক্টোবর ২০২৪

সংবাদ সম্মেলন করে পিএইচডি জালিয়াতির অভিযোগ তোলায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মুর্শেদুল ইসলামের (পিটার) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ। অভিযোগ আমলে নিয়ে ড. মুর্শেদুল ইসলামকে তার বক্তব্যের সমর্থনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আগামী ৬ নভেম্বর উপস্থিত হওয়ার জন্য বলেছে কমিশন।

রোববার (২০ অক্টোবর) জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইউশা রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (১৯ অক্টোবর) ‘শিক্ষকের বিরুদ্ধে পিএইচডি ডিগ্রি জালিয়াতির অভিযোগ সহকর্মীর’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নজরে এসেছে।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য বিশ্বজিৎ চন্দের বিরুদ্ধে পিএইচডি ডিগ্রি জালিয়াতির অভিযোগ করেছেন তার এক সহকর্মী। এ বিষয়ে ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে সম্মানহানি করা হয়েছে বলে বিশ্বজিৎ চন্দ কমিশনে অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে বিশ্বজিৎ চন্দ জানান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মুর্শেদুল ইসলাম গত ১৯ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলনে পিএইচডি জালিয়াতি করে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন বলে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন। জনাব বিশ্বজিৎ চন্দ উল্লেখ করেন যে, তার লন্ডনের সোয়াস (SOAS) থেকে অর্জিত পিএইচডি ডিগ্রি কোনোভাবেই অসত্য নয় এবং তার অধ্যাপক পদে পদোন্নতি বিধি মোতাবেক হয়েছে।

তিনি আরও জানান, তার ছুটির সব বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট কর্তৃক অনুমোদিত ছিল এবং ‘বিনা বেতনে বিশেষ ছুটি’র সময়কালে কোনো বেতন-ভাতা নেওয়া হয়নি। শুধু ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বজিৎ চন্দের সম্মানহানি করেছেন ড. মুর্শেদুল ইসলাম এবং কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছেন। ভিত্তিহীন ও মানহানিকর অভিযোগের তদন্ত এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে কমিশনের চেয়ারম্যানকে অনুরোধ জানিয়েছেন বিশ্বজিৎ চন্দ।

এসএম/এমএএইচ/জেআইএম