জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সিগারেটে কার্যকর করারোপের আহ্বান
সিগারেটের উপর কার্যকর কর আরোপ করে দাম বৃদ্ধির মাধ্যমে যেমন সরকারের রাজস্ব বাড়ানো সম্ভব। তেমনি জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় মানুষকে এটি ব্যবহারে নিরুৎসাহিতও করা সম্ভব। এছাড়া অন্যান্য তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার কমাতে নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে 'জনস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক সুরক্ষায় সিগারেটে কার্যকর করারোপ' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে আলোচকরা এই মন্তব্য করেছেন। গবেষণা সংস্থা উন্নয়ন সমন্বয় আয়োজিত বৈঠকটির সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ড. এ কে এনামুল হক।
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিগারেটে করারোপের পর্যালোচনার প্রেক্ষাপট উপস্থাপন করেন উন্নয়ন সমন্বয়ের গবেষণা পরিচালক আব্দুল্লাহ নাদভী। গবেষণায় দেখা গেছে, ২০০৯ সালে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ধূমপানের হার ছিল ৫৪ শতাংশ যা ২০২২ এ এসে দাঁড়িয়েছে ৪৭ শতাংশ। এই হার বজায় থাকলে ২০৩০ সালে এটি ৪২ শতাংশে পৌঁছাবে যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২৫ শতাংশের চেয়ে অনেক কম।
বক্তারা বলেন, ২০১৯-২০ থেকে ২০২৩-২৪ সময়কালে সিগারেটের দাম ৬ থেকে ২২ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে যা চলতি মূল্যে মাথাপিছু আয়ের তুলনায় নগণ্য। ফলে মূল্যস্ফীতির বিবেচনায় সিগারেট বরং আরও সহজলভ্য হয়েছে। সিগারেটে কার্যকর করারোপ না করার ফলে প্রতিবছর গড়ে ৬,৬০০ কোটি টাকার রাজস্ব হারিয়েছে সরকার। তাই সব স্তরের সিগারেটের দাম বাড়িয়ে এর ব্যবহার কমিয়ে আনা সম্ভব।
ড. এ কে এনামুল হক বলেন, আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য সিগারেটের ব্যবহার কমানো। তবে ট্যাক্স বাড়ানোর মাধ্যমে এর ব্যবহার কমানো সম্ভব। সিগারেটের পাশাপাশি অন্যান্য তামাকজাত পণ্য যেমন জর্দা, গোল, সাদা পাতা ইত্যাদির ব্যবহার কমাতে হবে। এছাড়া বর্তমানে ই-সিগারেটের ব্যবহার ও বেড়ে গিয়েছে। এর উপরও করারোপ করতে হবে। সর্বোপরি মানুষের আচরণিক পরিবর্তন করতে হবে।
বক্তারা বলেন, যারা ধূমপায়ী তাদের সিগারেটের ব্যবহার কমানোর পাশাপাশি নতুনরা যাতে ধুমপান না করে সেদিকে ও লক্ষ্য রাখতে হবে। এর জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
এসআরএস/এসআইটি/এমএস