আরও ৫০ স্পটে ন্যায্যমূল্যে মিলবে অত্যাবশ্যকীয় কৃষিপণ্য
রাজধানী ঢাকার আরও ৫০ স্পটে ১৫টি কৃষিপণ্য নায্যমূল্যে বিক্রি করা হবে। পাশাপাশি কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় ২০ স্পটে সাশ্রয়ী মূল্যে কৃষিপণ্য বিক্রয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) এক যৌথ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
এদিন রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবি চত্বরে ফসল ডট কম লিমিটেডের ন্যায্যমূল্যে অত্যাবশ্যকীয় কৃষিজাত দ্রব্যাদি বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় সাশ্রয়ী মূল্যে কৃষিপণ্য বিক্রয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পাশাপাশি ফসল ডট কম এই অভিনব উদ্যোগের মাধ্যমে প্রান্তিক কৃষক থেকে ভোক্তা পর্যায়ে হাত বদল ও সিন্ডিকেট বাদ দিয়ে যে মহতি উদ্যোগ নিয়েছে তাকে আমি সাধুবাদ জানাই।
তিনি বলেন, সরকার এক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতা করবে। বাজারে দীর্ঘদিনের যে অসাধু চর্চা চলে এসেছে তা দূর করতে সবাইকে সম্মিলিত কাজ করতে হবে। এ সমস্যা সমাধানের টেকসই সমাধান হিসেবে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রির এ ধরনের উদ্যোগ সরকার সব সময় উৎসাহিত করবে। জনদুর্ভোগ কমাতে এ ধরনের উদ্যোগ ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এ ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হবে।
সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ভোক্তাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে বলেও জানান আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ সরকারের অন্যতম প্রধান বিবেচ্য বিষয়। তবে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বাজার সিন্ডিকেট ও চাঁদাবাজি বড় চ্যালেঞ্জ। যে কারণে দ্রব্যমূল্য প্রায় ৩০ শতাংশ বাড়ে। এক্ষেত্রে কৃষক সবচেয়ে কম মূল্য পান এবং ভোক্তা সবচেয়ে বেশি মূল্যে পণ্য ক্রয় করেন। তৃণমূল পর্যায় থেকে পণ্য সরাসরি ক্রয় করে এনে শহরে বিক্রির ব্যবস্থা করা হলে অর্থাৎ সমবায় ভিত্তিক বিপণন ব্যবস্থা গড়ে তোলা হলে উৎপাদক ও ভোক্তারা সুফল পাবেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম উদ্দিন, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান,টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোস্তফা ইকবাল প্রমুখ।
এনএইচ/কেএসআর/জিকেএস