বুয়েটসহ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্যাতন তদন্তে কমিশন গঠন
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ (বুয়েট) অন্যান্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আবাসিক হলগুলোতে নির্যাতন বা র্যাগিংয়ের বিষয়ে তদন্তে একটি কমিশন গঠন করেছে সরকার। একই সঙ্গে নির্যাতন বা র্যাগিং বন্ধে এ কমিশন সরকারকে সুপারিশ দেবে।
উচ্চ আদালতের আদেশ অনুযায়ী এক সদস্যের এ তদন্ত কমিশন গঠন করে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. মিফতাহ উদ্দীন চৌধুরীর নেতৃত্বে এ কমিশন গঠন করা হয়েছে। কমিশন ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকার সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন নম্বর-১০৯০২/২০১৯ এর গত ৩ সেপ্টেম্বরের আদেশ অনুযায়ী ‘দ্য কমিশনস অব ইনকয়ারি অ্যাক্ট ১৯৫৬’ এ দেওয়া ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে সংঘটিত নির্যাতন/র্যাগিংয়ের বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন প্রদান ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে এবং বাংলাদেশের অন্যান্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্যাতন/র্যাগিং বন্ধের জন্য সুনির্দিষ্ট সুপারিশ দিতে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. মিফতাহ উদ্দীন চৌধুরীর সমন্বয়ে এক সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিশন গঠন করলো।
তদন্ত কমিশন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে সংঘটিত নির্যাতন/র্যাগিংয়ের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেবে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে এবং বাংলাদেশের অন্যান্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্যাতন/র্যাগিং বন্ধের জন্য সুনির্দিষ্ট সুপারিশ দেবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, কমিশন, ‘দ্য কমিশনস অব ইনকয়ারি অ্যাক্ট ১৯৫৬’ অনুসারে এবং হাইকোর্ট বিভাগের আদেশ অনুযায়ী তদন্তকার্য সম্পন্ন করে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে আদালতের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ তদন্ত কমিশনকে সাচিবিক সহায়তাসহ সব ধরনের সহযোগিতা দেবে।
কমিশনের সদস্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারকের মর্যাদা, আর্থিক ও অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
আরএমএম/এমকেআর/জিকেএস