ভোটার তালিকা হালনাগাদে প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি
ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য সব বিষয়ে প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে আগাম তথ্যগ্রহণ করতে ভিন্ন ভিন্ন সময়সূচি ও কর্মপরিকল্পনা তৈরি করবে ইসি।
ইসি সচিব শফিউল আজিম স্বাক্ষরিত ভোটার তালিকা, জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা সহজীকরণ এবং প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের নিমিত্ত সভার কার্যবিবরণী থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য আমরা এরই মধ্যে প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে। মাঠপর্যায়ে কার্যালয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য কি পরিমাণ সরঞ্জাম আছে, কি পরিমাণ লাগবে এর হিসাব চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে এ বছর একসঙ্গে কত বছরের আগাম তথ্য নেওয়া হবে তা নির্ধারণ হয়নি। আগাম তথ্য নেওয়া হলেও কর্মপরিকল্পনা ও সময় থাকবে ভিন্ন ভিন্ন।
ইসি সচিব শফিউল আজিম বলেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। ভোটার নিবন্ধন কাজে ব্যবহৃত মালামালের বর্তমান অবস্থা জানার জন্য মাঠপর্যায়ে চিঠি পাঠানো হবে এবং প্রয়োজনীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে।
সভায় সিনিয়র সহকারী সচিব (নির্বাচন সহায়তা-২) জানান, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি, ২০২২ এ তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই কার্যক্রমে সময় দেওয়া হয়েছিল ৩ সপ্তাহ, তথ্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল বিদ্যমান ভোটারের ৭.৫ শতাংশ। কার্যক্রম শেষে তথ্য সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯.০৮ শতাংশ এবং রেজিস্ট্রেশন হয় ৮.৭৯ শতাংশ। ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে বিভিন্ন ফরম মুদ্রণ, যন্ত্রপাতি ক্রয়, রেজিস্ট্রেশন, ডাটা আপলোড, আঙ্গুলের ছাপ, খসড়া ভোটার তালিকা প্রস্তুত, খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ, খসড়া ভোটার তালিকা উপর দাবি/আপত্তি দাখিল ও নিষ্পত্তি, এবং চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের জন্য প্রায় ১ বছর সময় লেগেছিল।
কার্যবিবরণী থেকে জানা যায়, যেকোন সময় ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এখন থেকেই সব বিষয়ে প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। এছাড়া ১ বা ২ বা ৩ বছরের তথ্য সংগ্রহ করলে তার জন্য পৃথক পৃথক সময়সূচি ও কর্মপরিকল্পনা তৈরি করবে সংস্থাটি।
সর্বশেষ ২০২২ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়। ওই সময় একসঙ্গে ৩ বছরে তথ্য আগাম নিয়েছিল ইসি।
এমওএস/এমএএইচ/এমএস