আগে বিচার, তারপর সমঝোতা: মাহফুজ আলম
জুলাই-আগস্টের গণহত্যা নিয়ে যাদের বিন্দুমাত্র অনুশোচনা নেই, তাদের সঙ্গে কোনো সমঝোতা হবে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম। তিনি বলেছেন, ‘আগে বিচার, তারপর সমঝোতা। খুনিদের ক্ষমা নাই।’
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে স্ট্যাটাস দিয়ে এসব বলেন মাহফুজ আলম।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের উদ্দেশে মাহফুজ আলম লেখেন, ‘যাদের বিন্দুমাত্র অনুশোচনা নাই গণহত্যা নিয়ে, তাদের সাথে নো রিকন্সিলিয়েশন। আগে বিচার, তারপর সমঝোতা!’
‘মুজিববাদের বিরুদ্ধে এবার হবে প্রত্যাঘাত’ জানিয়ে মাহফুজ আলম লেখেন, খুনিদের ক্ষমা নাই। খুনিদের আদর্শের ফেরিওয়ালাদের ক্ষমা নাই।
‘নির্মূলের রাজনীতি আমরা করতে চাই নাই’ উল্লেখ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই নেতা লেখেন, ‘আমাদের রক্ত পান করতে যারা স্লোগান দিবে, রাজনীতি করবে- সেসকল মুজিববাদীদের কোনোভাবেই ক্ষমা করা হবে না। দু’হাজার বা ততোর্ধ্ব শহিদের আত্মার শপথ, কোন সুশীল বা গুন্ডা মুজিববাদীদের এ স্বদেশের এক ইঞ্চি জমিও ছেড়ে দেয়া হবে না। ফ্যাসিস্ট মুজিব হাসিনা, মুর্দাবাদ মুর্দাবাদ।’
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের সামনে বিক্ষোভ করেন আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরা। এ সময় তারা ‘শেখ হাসিনার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’, ‘শেখ হাসিনার সরকার, বারবার দরকার’, ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’সহ নানা স্লোগান দিতে থাকেন। পরে একজনকে আটক করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
এদিকে ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবিতে হাইকোর্ট ঘেরাওয়ের উদ্দেশ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে জড়ো হচ্ছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সমর্থক শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকেই জড়ো হতে থাকেন তারা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল এবং আশপাশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে অবস্থান নিচ্ছেন।
এমএমএআর/এএসএম