ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

বদিউল আলম মজুমদার

তিন সংসদ নির্বাচনের অনিয়ম চিহ্নিত করবে সংস্কার কমিশন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:০৬ পিএম, ১৪ অক্টোবর ২০২৪

নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, আওয়ামী লীগের অধীনে অনুষ্ঠিত তিনটা জাতীয় নির্বাচনে ঘটে যাওয়া অনিয়ম ও ব্যত্যয়গুলো চিহ্নিত করা হবে। এরপর কিছু সুপারিশমালা তৈরি করে উপদেষ্টামণ্ডলীর কাছে উপস্থাপন করবে কমিশন।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসি সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান বদিউল আলম মজুমদার।

বিগত তিনটি নির্বাচনের ক্ষেত্রে কী অগ্রাধিকার দেবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবশ্যই যেসব অনিয়ম, ব্যত্যয় ঘটেছে, এগুলো আমরা চিহ্নিত করবো। ভালো কিছু হয়ে থাকলে সেগুলোও চিহ্নিত করবো। নির্বাচনী প্রক্রিয়াটা তো একদিনের বিষয় নয়। এটা একটা সাইকেল। এ সাইকেল পর্যালোচনা করে ব্যত্যয় যা করেছে তা চিহ্নিত করে সুপারিশ করবো। স্থানীয় নির্বাচন কখন হবে, এটাও আমাদের এখতিয়ারবহির্ভূত।

আরও পড়ুন

অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করবেন কি না এমন প্রশ্নে সুজন সম্পাদক বলেন, আমাদের সুপারিশ থাকবে। তবে সে কথা বলার সময় এখনো আসেনি। আমরা কর্মকর্তা এবং কমিশনের বিষয়ও পর্যালোচনা করবো।

আমরা যথাসময়ে কাজ শুরু করেছি। আমরা একটা ওয়েবসাইট তৈরি করছি। এ ওয়েবসাইট নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের সাবডোমেইন হবে। এটা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই করা হবে।

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, এখন আইন-কানুন বিধিমালা পর্যালোচনা করছি। যাতে আমাদের সুস্পষ্ট ধারণা হয় এবং সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে সংস্কার করতে পারি। আমরা একটা ওয়েবসাইট তৈরি করছি। এতে কী থাকা উচিত তা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের ফেসবুক পেজ হবে ও ই-মেইল হবে। সবার কাছ থেকে তথ্য, প্রস্তাব, সুপারিশ চাইবো। ওয়েবসাইট ইসির ওয়েবসাইটের সাবডোমেইন হবে। এক সপ্তাহের মধ্যেই হয়ে যাবে।

ওয়েবসাইটে কী বিষয়ে মতামত চাইবেন, সংবিধান নিয়ে কোনো আলোচনা করছেন কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা লাইন ধরে ধরে পর্যালোচনা করছি। সুনির্দিষ্ট কোনো কিছু নয়। যেদিন আমরা সুপারিশ সরকারের কাছে পাঠাবো, সেদিন এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে। সবচেয়ে বড় আইন হলো গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ। আরপিও আমরা গভীরভাবে পর্যালোচনা করছি। জাতীয় নির্বাচনের জন্য এটা মাদার অব ‘ল’। এরপর সীমানা পুনর্নিধারণ আইন আছে, ভোটার তালিকা আইন আছে, ইসি সচিবালয় আইন আছে, এরকম অনেক আইন আছে। আমাদের স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইন আছে। সেগুলো নিয়েও পর্যালোচনা করতে হবে। পর্যালোচনা করে সে বিষয়ে সুপারিশ করতে হবে। নির্বাচন পর্যবেক্ষক এমন অনেক কাজ বিস্তৃত, যেগুলো আমরা পর্যালোচনা করবো। কমিশনের নিয়োগের আইন অগ্রাধিকার। সরকার যখন চাইবে আমরা আশাকরি তখনই উনাদের একটা খসড়া দিতে পারবো।

‘না’ ভোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা সবকিছুই বিবেচনায় নেবো। যত মতামত আসবে তত পর্যালোচনা করবো। নির্বাচন বিষয়ে যে কেউ যে কোনো মতামত দিতে পারবেন। উন্মুক্ত মতামত নেওয়া হবে। আমরা তো নিশ্চিত করতে পারবো না যে কেউ অপকর্ম করবে না। তবে আমরা গার্ডরেল তৈরি করবো। সিঁড়ির পাশ দিয়ে যেমন বেরিয়ার থাকে। কেউ যেন পড়ে না যায়। কিন্তু কেউ যদি ঝাঁপ দিতে চায় তাহলে তো কিছু করার নেই। কিন্তু আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করবো এমন সব সুপারিশ করার, যেন একটা সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত হয়।

এমওএস/এমএএইচ/জিকেএস