সংস্কার কমিশন প্রধানদের মর্যাদা-সুবিধা, সদস্যদের সম্মানী নির্ধারণ
ছয়টি সংস্কার কমিশন প্রধানদের পদমর্যাদা, বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি এবং সদস্যদের সম্মানী নির্ধারণ করেছে সরকার।
বুধবার (৯ অক্টোবর) রাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে, গত ৩ অক্টোবর গঠিত নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, পুলিশ সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন এবং ৬ অক্টোবর গঠিত সংবিধান সংস্কার কমিশনের কমিশন প্রধানরা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতির মর্যাদা, বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি পাবেন।
প্রজ্ঞাপনে আরও ভালো হয়, কমিশনগুলোর সদস্যদের মধ্যে যারা সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত নন, তারা কমিশনের প্রত্যেক সভায় অংশগ্রহণের জন্য ১০ হাজার টাকা সম্মানী পাবেন। যারা সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত রয়েছেন, তারা কমিশনের প্রত্যেক সভায় অংশগ্রহণের জন্য ৫ হাজার টাকা সম্মানী পাবেন।
তবে শর্ত থাকে যে, কমিশন প্রধান বা কোন সদস্য অবৈতনিক হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে চাইলে বা সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে না চাইলে তা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অনুমোদন করতে পারবেন বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
আট সদস্যের নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্থার কমিশনের প্রধান সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর সম্পাদক এবং নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. বদিউল আলম মজুমদার।
নয় সদস্যের পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সাবেক সচিব সফর রাজ হোসেন।
আট সদস্যের বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শাহ আবুল নাঈম মমিনুর রহমান।
দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রধান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। এ কমিশনটিও আট সদস্য বিশিষ্ট।
আট সদস্যের জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চেয়ারম্যান আব্দুল মূয়ীদ চৌধুরী।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও লেখক আলী রীয়াজকে প্রধান করে নয় সদস্যের সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে।
কমিশন গঠনের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, কমিশনের প্রধান ও সদস্যরা সরকার নির্ধারিত পদমর্যাদা, বেতন/সম্মানী ও সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
আরএমএম/ইএ