ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

টিআইবির গবেষণা

দেড় দশকে সওজের প্রকল্পে সর্বনিম্ন দুর্নীতি ২৯ হাজার কোটি টাকা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:৪৯ পিএম, ০৯ অক্টোবর ২০২৪

গত ১৪ বছরে (২০০৯-১০ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে) সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের অধীনে বাস্তবায়িত উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণকাজে সর্বনিম্ন ২৯ হাজার ২৩০ কোটি থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে জানিয়েছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এছাড়া উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণকাজে সার্বিক দুর্নীতির হার ২৩-৪০ শতাংশ বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

টিআইবি বলছে, সড়ক নির্মাণ বা উন্নয়ন সংক্রান্ত কাজে সার্বিকভাবে দুর্নীতির হার ২৩ থেকে ৪০ শতাংশ। ২৩ শতাংশ হলে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময়ে সড়ক ও মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণ বা উন্নয়নকাজে প্রাক্কলিত দুর্নীতির পরিমাণ ২৯ হাজার ২৩০ কোটি টাকা, আর ৪০ শতাংশ হলে দুর্নীতির পরিমাণ দাঁড়ায় ৫০ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা।

বুধবার (৯ অক্টোবর) ‘সড়ক ও মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সংস্থাটির এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণায় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অধীনে বাস্তবায়িত উন্নয়ন প্রকল্পগুলো আওতাভুক্ত করা হয়েছে।

গবেষণায় দেশীয় অর্থায়নে বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে এক হাজার কোটি টাকার নিচের প্রকল্পগুলো নির্বাচন করা হয়েছে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আইন-কানুন অমান্য করে স্বার্থান্বেষী মহল সুবিধাভোগী হয়েছে। দুর্নীতির সঙ্গে যারা জড়িত তাদের উৎখাত করতে হবে। প্রকল্পের কাজে স্বচ্ছতা আনতে হবে। অনিয়মের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

গবেষণা প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে টিআইবি জানায়, ২০০৯-১০ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থ বছর পর্যন্ত সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অধীনে বাস্তবায়িত উন্নয়ন প্রকল্পের প্রাক্কলিত দুর্নীতির পরিমাণ ২৯ হাজার ২৩০ কোটি থেকে ৫০ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা।

এর মধ্যে নির্মাণকাজের কার্যাদেশ প্রাপ্তি ও ঠিকাদারের বিল প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ঘুস, দুর্নীতির হার ১১-১৪ শতাংশ ও নির্মাণকাজে রাজনীতিবিদ, ঠিকাদার ও উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ত্রিপক্ষীয় আঁতাতের মাধ্যমে দুর্নীতির হার ১০-২০ শতাংশ। এছাড়া দরপত্র, লাইসেন্স ভাড়া, কার্যাদেশ বিক্রি, সমঝোতা, স্থানীয় পর্যায়ের রাজনৈতিক চাঁদাবাজি ইত্যাদি ক্ষেত্রে দুর্নীতির হার ২-৬ শতাংশ।

প্রতিবেদনে টিআইবি জানায়, ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে ২০২৩-২৪ পর্যন্ত সময়ে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি অনুসারে সওজের উন্নয়ন প্রকল্পের মোট ব্যয় ছিল ১৬৯,৪৪৯ দশমিক ৯৩ কোটি টাকা বা ১৬৯ কোটি টাকা। ৪৮টি উন্নয়ন প্রকল্প ব্যয় বিশ্লেষণ; ভূমি অধিগ্রহণ, ইউটিলিটি অবকাঠামোট স্থানান্তর, বেতন-ভাতা, যানবাহন, স্টেশনারি ইত্যাদি ব্যয় ব্যতীত উন্নয়ন প্রকল্পের শুধু নির্মাণ বা উন্নয়ন সংক্রান্ত কাজের প্রাক্কলিত গড় ব্যয়ের হার ৭৫ শতাংশ। এ ব্যয়ের পরিমাণ ১২৭ কোটি টাকা।

এসএম/এমকেআর/এমএস