ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

বিএসসির দুই জাহাজে দুর্ঘটনা

ক্রুড লাইটারিংয়ে যুক্ত হচ্ছে বিদেশি জাহাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক | চট্টগ্রাম | প্রকাশিত: ১১:১৬ এএম, ০৮ অক্টোবর ২০২৪

বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) দুই ট্যাংকার জাহাজে দুর্ঘটনার পর এরইমধ্যে মাদারভ্যাসেল থেকে ক্রুড অয়েল লাইটারিং শুরু হয়েছে। আপদকালীন লোকাল লাইটার জাহাজ দিয়ে ক্রুড পরিবহন শুরু করে বিএসসি।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) থেকে লাইটারিংয়ে যুক্ত হচ্ছে ‘এমটি গ্লোবাল ডিগনিটি’ নামের বিদেশি পতাকাবাহী ট্যাংকার জাহাজ।

বিএসসির মহাব্যবস্থাপক (কার্গো সুপারভিশন অ্যান্ড অপারেশন) ক্যাপ্টেন জামাল হোসেন তালুকদার জাগো নিউজকে বলেন, ক্রুড লাইটারিংয়ের সময় অগ্নিকাণ্ডে বিএসসির ট্যাংকার জাহাজ দুটি পরিত্যক্ত ঘোষণার পর বহির্নোঙরে অবস্থান করা মাদার ভ্যাসেল এমটি ওমেরা লিগেসি থেকে পুনরায় লাইটারিং শুরু হয়েছে। শুরুতে আপদকালীন হিসেবে লোকাল লাইটার জাহাজ দিয়ে লাইটারিং শুরু করা হয়েছে। এখন ‘এমটি গ্লোবাল ডিগনিটি’ নামে বিদেশি আরেকটি জাহাজ ক্রুড লাইটারিংয়ের জন্য চাটার্ড (ভাড়া) করা হয়েছে। এটি দিয়ে আজকের (মঙ্গলবার) মধ্যে লাইটারিং শুরু করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

সূত্রে জানা গেছে, এমটি গ্লোবাল ডিগনিটি জাহাজটি পানামার পতাকাবাহী। এটির দৈর্ঘ্য ১৭৭ দশমিক ১ মিটার, প্রস্থ ২৬ দশমিক ২৭ মিটার এবং গভীরতা ৭ মিটার। জাহাজটির আগের নাম ছিল বিট অকল্যান্ড। জাহাজটি বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে বিএসসি।

বিএসসি বলছে, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) এসপিএম প্রকল্প অপারেশনে যাওয়া পর্যন্ত জাহাজটি ক্রুড লাইটারিংয়ে যুক্ত থাকবে।

বিএসসির দুই ট্যাংকার পরিত্যক্ত। বাংলার জ্যোতি এবং বাংলার সৌরভ ট্যাংকার জাহাজ দুটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে মালিক প্রতিষ্ঠান বিএসসি। এরমধ্যে ৩০ সেপ্টেম্বর ইস্টার্ন রিফাইনারির ডলফিন জেটিতে ক্রুড খালাসের সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ক্রুড খালাসের সময় জাহাজটিতে রক্ষণাবেক্ষণ কাজ করতে গেলে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে তিনজন নিহত হন। এ ঘটনার ৫ দিনের মাথায় অন্য জাহাজ বাংলার সৌরভ-এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে একজন নিহত হন। বাংলার জ্যোতি দুর্ঘটনা পরবর্তী মেরামতের জন্য ডকে নেওয়া হলেও বাংলার সৌরভে ঘটনা ঘটলে জাহাজটি দুটিই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।

নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এমটি বাংলার জ্যোতি এবং বাংলার সৌরভ জাহাজ দুটি ১৯৮৬ সালে নির্মিত হয়। ১৯৮৮ সালে জাহাজ দুটি নৌ-বাণিজ্য অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধন পায়। বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজটির মালিক বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন। পুরোনো হওয়ায় জাহাজ দুটি এরইমধ্যে স্ক্র্যাপিং করারও সিদ্ধান্ত নেয় বিএসসি। দুর্ঘটনার আগেও রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু বিপিসি তাদের সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) বাণিজ্যিকভাবে চালু না করায় অনেকটা বাধ্য হয়েই এমটি বাংলার জ্যোতিকে ক্রুড লাইটারিংয়ে ব্যবহার করতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর মাহমুদুল মালেক।

এমডিআইএইচ/এসএনআর/জিকেএস