‘পার্বত্য চট্টগ্রামে খ্রিস্টান রাষ্ট্র বানানোর ষড়যন্ত্র চলছে’
পাহাড়ে হত্যাকাণ্ডের বিচার ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে চট্টগ্রামে সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐক্য পরিষদ। সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে খ্রিস্টান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে এ অভিযোগ করেন তারা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, নানান বৈষম্যের শিকার হয়ে পিছিয়ে যাচ্ছে পার্বত্য অঞ্চলের বাঙালি পরিবারগুলো। ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক পরিবারগুলো রাষ্ট্রীয় যেসব সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে, ঠিক তার বিপরীতে বাঙালি পরিবারগুলো তা পাচ্ছে না। বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামকে খ্রিস্টান অধ্যুষিত রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে।
এ সময় শিক্ষক সোহেল রানা, পরিবহন শ্রমিক মামুনসহ পাহাড়ে সংঘটিত সব হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করা হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বৈষম্যবিরোধী পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐক্য পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী তৌহিদ আজাদ। প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সাবেক সদস্য, সাবেক সংসদ সদস্য ও চট্টগ্রাম নগর জামায়াতের আমির শাহজাহান চৌধুরী।
তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সব সমস্যা সমাধানের জন্য একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিশেষ কমিশন গঠনের কোনো বিকল্প নেই। ভূমি সমস্যা সামাধান সবাইকে সঙ্গে নিয়ে করতে হবে।
- আরও পড়ুন
- অনির্দিষ্টকালের জন্য সাজেক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করলো জেলা প্রশাসন
- রাঙ্গামাটিতে সহিংসতা: তিনদিনে ব্যবসায়ীদের ক্ষতি ৫০ কোটি টাকা
শাহাজাহান চৌধুরী বলেন, ব্যাংক থেকে ঋণ নিলে ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর সদস্যদের কোনো সুদ দিতে হয় না, কিন্তু বাঙালিদের চড়া সুদ দিতে হয়। তারা ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করতে না পারলে তাদের অনেক ক্ষেত্রেই তা মওকুফ করা হয়। কিন্তু বাঙালিরা পরিশোধ করতে না পারলে তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করা হয় এবং জেলখানায় যেতে হয়।
সমাবেশ থেকে ১৯০০ সালের শাসনবিধি বাতিলসহ বৈষম্য, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজমুক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম গঠনের আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে পার্বত্য চুক্তি বাতিল করে দেশের সাংবিধানিক ধারাসমূহ প্রতিষ্ঠার দাবি জানায় বৈষম্যবিরোধী পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐক্য পরিষদ।
বৈষম্যবিরোধী পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম মুজাহিদের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- খাগড়াছড়ি জেলা পারিষদের সাবেক সদস্য আবু বকর, শ্রমিক কল্যাণ পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান, বান্দরবান জেলা নাগরিক পরিষদের সাবেক সভাপতি আতিকুর রহমান, ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছাদেক, ইসলামী ছাত্রশিবিরের বান্দরবান জেলার সাবেক সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট হাসান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক ফজলুল হক শ্রাবণ ও তারেক মানোয়ার।
বক্তারা বলেন, আমরা নির্যাতিত হচ্ছি। পাহাড়ে কুকি-চিন ও অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠনের ভয়ে অনেক বাঙালি পাহাড় ছেলে চলে যাচ্ছেন। এছাড়া খুন-হত্যার মতো নিয়মিত ঘটনা চলছে।
এএজেড/কেএসআর/এএসএম