ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

হোটেলে স্বামীকে হত্যা, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্ত্রীকে গ্রেফতার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১১:৫২ পিএম, ০৩ অক্টোবর ২০২৪

রাজধানীর দক্ষিণখানে আবাসিক হোটেলে স্বামীকে ছুরিকাঘাত করে পৈশাচিকভাবে হত্যা মামলায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারী স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার নারীর নাম হাজেরা আক্তার ওরফে নুর।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) ঢাকার কেরানীগঞ্জ গোপপাড় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। রাতে এ তথ্য জানান ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

তিনি বলেন, ঢাকার কেরানীগঞ্জ গোপপাড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে হাজেরা আক্তার ওরফে নুরকে গ্রেফতার করা হয়।

ডিসি মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত যাপনের জন্য দশটার দিকে রাজধানীর হাজী হোটেল ইন্টারন্যাশনাল আবাসিক হোটেলের নিচতলার একটি কক্ষে ওঠেন শাখাওয়াত হোসেন শরীফ ও তার স্ত্রী হাজেরা আক্তার ওরফে নুর। পরদিন সন্ধ্যায় হোটেল কর্তৃপক্ষের সংবাদের মাধ্যমে ওই কক্ষ থেকে শাখাওয়াত হোসেন শরীফের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। থানা পুলিশ, সিআইডি ফরেনসিক টিম ও পিবিআইয়ের সহায়তায় শাখাওয়াত হোসেন শরীফের মরদেহ শনাক্ত করা হয়। পরবর্তী সময়ে শরীফের আত্মীয়-স্বজনদের সংবাদ দিলে শরীফের বাবা মো. সাইফুল ইসলাম দক্ষিণখান থানায় অভিযোগ দায়ের করলে ১ অক্টোবর একটি হত্যা মামলা রুজু হয়।

তিনি বলেন, ঘটনার পরপরই ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে দক্ষিণখান জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. নাসিমের নেতৃত্বে দক্ষিণখান থানার একটি বিশেষ টিম গাজীপুর ও ঢাকা জেলার বিভিন্ন স্থানে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে। একপর্যায়ে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানার গোপপাড় এলাকা থেকে হত্যাকারী স্ত্রী হাজেরা আক্তার নুরকে গ্রেফতার করা হয়। যা মামলা রুজুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই। হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটিও উদ্ধার করা হয়েছে।

নিজ স্বামীকে হত্যার কারণ সম্পর্কে আসামির স্বীকারোক্তিতে জানা যায়, রাতে হোটেলে দাম্পত্য কলহের জের ধরে স্বামী-স্ত্রী দুজনের মধ্যে ঝগড়া ও হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে স্ত্রী হাজেরা আক্তার ওরফে নুর ওই রুমে থাকা ফল কাটার চাকু দিয়ে স্বামী শরীফকে শরীরের একাধিক স্থানে ছুরিকাঘাত করেন। এতে তার স্বামী মারা যান।

স্ত্রী হাজেরা পরদিন ভোর পাঁচটার দিকে কৌশলে পালিয়ে যায়। তার স্বামীকে হত্যা সম্পর্কে গ্রেফতার হাজেরা আক্তার ওরফে নুর বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলেও জানান ডিএমপির এ কর্মকর্তা।

টিটি/এমএএইচ/