ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

গ্যাস অনুসন্ধান

২০২৮ সালের মধ্যে ১৩৫ কূপ খনন করবে সরকার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:১৪ পিএম, ০৩ অক্টোবর ২০২৪

গ্যাস অনুসন্ধানে দুই ধাপে ২০২৮ সালের মধ্যে ১৩৫টি কূপ খনন করবে সরকার। এর বড় একটি অংশ খনন করবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। বাকিটুকু হবে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সচিবালয়ে গ্যাস অনুসন্ধান সংক্রান্ত এক সভা শেষে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, দেশের অভ্যন্তরে এবং অফশোরে (সমুদ্রের মধ্যে) গ্যাস অনুসন্ধান প্রক্রিয়া জোরদার করা হবে। এটিকে আমরা তিন ভাগে ভাগ করেছি। সমুদ্রের মধ্যে গ্যাস অনুসন্ধানে টেন্ডার হয়ে গেছে, সম্প্রতি সেটার সময় বাড়ানো হয়েছে। এ সময় ডিসেম্বর মাসে শেষ হবে। এটিতে সাতটি কোম্পানি ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।

জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, আজকে আমরা দেশের মধ্যে গ্যাস অনুসন্ধানের যে অবস্থা, সেটা পর্যালোচনা করেছি। এটিকে আমরা দুই ভাগ করেছি। এরমধ্যে একটি ভাগ ২০২৫ সাল পর্যন্ত, আর অন্য ভাগটি ২০২৬ থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত।

‘২০২৫ সালের মধ্যে অনুসন্ধানের আমাদের যে পরিকল্পনা, সেখানে ১৫টি কূপ খনন করা হয়েছে। সেখানে প্রতিদিন প্রায় ১৭৬ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফ) গ্যাস পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ৭৬ এমএমসিএফ জাতীয় গ্রিডে দিতে সক্ষম হয়েছি। বাকিটা আমাদের পাইপলাইন না থাকার কারণে দেওয়া সম্ভব হয়নি।’

২০২৫ সালের মধ্যে আরও ৩৫টি কূপ খনন করা হবে জানিয়ে ফাওজুল কবির খান বলেন, এরমধ্যে অনেকগুলো একেবারেই নতুন, এরমধ্যে কিছু উন্নয়ন কূপ, বাকিগুলো যে কূপগুলো রয়েছে সেখানে আরও একটু গ্যাসের পরিমাণ বাড়ানো যায় কি না সেজন্য ওয়ার্কওভার করা।

তিনি বলেন, বলা হয়ে থাকে আমরা বাপেক্সকে ব্যবহার করি না। ৩৫টির মধ্যে ১২টি কূপ বাপেক্স খনন করবে। বাকি ২৩টার অনুসন্ধান হবে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে। এমনকি জিটুজি (সরকার টু সরকার) পদ্ধতিতেও আমরা আর করবো না। আমরা দেখেছি এ পদ্ধতিতে যেগুলো হয়েছে সেখানে এদেশের মানুষ ভ্যালু ফর মানি পায়নি।

২০২৬ থেকে ২০২৮ সালের গ্যাস অনুসন্ধানের পরিকল্পনা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, এসময়ে আমরা ১০০টি কূপ খনন করবো। সেখানেও নতুন, উন্নয়ন এবং ওয়ার্কওভার থাকবে।

তিনি বলেন, এর মধ্যে ৪৩টি কূপ বাপেক্সটা খনন করবে। আমরা এবার বাপেক্সকে সর্বশক্তি দিয়ে নিয়োগ করবো। বাপেক্সকে সুযোগটা দেবো, দেখবো কী হয়। বাপেক্সের পাঁচটি রিগ (গ্যাস অনুসন্ধান যন্ত্র) রয়েছে, তারা আরও একটি রিগ ভাড়া করতে পারবে। ২৬টি কূপ উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে অনুসন্ধান করবো।

এছাড়া ৩১টি ওয়ার্ককভার সবগুলো বাপেক্সের রিগ দিয়ে অনুসন্ধান করা হবে বলেও জানিয়েছেন ফাওজুল কবির খান।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, এখন গ্যাস নিয়ে একটা বিরাট সংকট আছে। বাসাবাড়িতে গ্যাস নেই, শিল্প কারখানায় গ্যাস নেই। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য, সার উৎপাদনের জন্য গ্যাস নেই। এই অনুসন্ধান সফল হলে আশা করি পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে। এলএনজি আমদানির বিরাট খরচ থেকে আমরা বাঁচতে পারবো।

আরএমএম/এমকেআর/জেআইএম