ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

চাকরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধি

কমিটিতে আরও ৩ সদস্য, নির্ধারণ হলো কাজের পরিধি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:০১ পিএম, ০১ অক্টোবর ২০২৪

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবির বিষয়ে সুপারিশ দিতে গঠিত কমিটিতে আরও তিনজন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে কমিটির কাজের পরিধি নির্ধারণ করে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সংশোধিত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এতে বলা হয়, চাকরিপ্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যালোচনা করে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য এ কমিটি গঠন করা হলো।

প্রথম জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী এ কমিটির আহ্বায়ক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান সদস্যসচিব।

সংশোধিত প্রজ্ঞাপনে কমিটিতে সাবেক যুগ্মসচিব কওছার জহুরা, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইকবাল ও অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে সদস্য হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

ছাত্রদের সুষ্ঠু ও বৈধ দাবিগুলো গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা এবং একটি কার্যকর সমাধানের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ পেশ করাই কমিটির মূল উদ্দেশ্য বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

কমিটি দেশের বর্তমান চাকরির বয়সসীমা এবং আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে তুলনা, ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও এর পেছনের কারণগুলো বিশ্লেষণ করা এবং কোভিড-১৯ মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন ও মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধ, বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের দুর্নীতির কারণে অর্থনৈতিক স্থবিরতা, কোভিড-১৯ এবং অন্যান্য প্রভাব বিস্তারকারী উপাদানগুলো বিবেচনা করবে।

কমিটি শিক্ষাবিদ, চাকরি প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ, ছাত্রসংগঠনসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করে বয়সসীমা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে তাদের সুস্পষ্ট মতামত নেবে এ কমিটি।

এছাড়া চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর জন্য আইনগত ও প্রশাসনিক বাধাগুলো বিশ্লেষণ করা, প্রয়োজনীয় আইনি পরিবর্তন ও সংশোধনের জন্য সুপারিশ প্রস্তুত করবে এ কমিটি।

একই সঙ্গে চাকরিতে বয়সসীমা বাড়ার ফলে শ্রমবাজারে কী ধরনের প্রভাব পড়বে তা বিশ্লেষণ করা এবং সরকারের অর্থনৈতিক অবস্থার ওপর সম্ভাব্য প্রভাব মূল্যায়ন করারও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এ কমিটিকে।

প্রাসঙ্গিক তথ্য ও পরিসংখ্যান অন্তর্ভুক্ত করে একটি কমিটি সুস্পষ্ট প্রস্তাবনা তৈরি করবে জানিয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কার্যপরিধি অনুযায়ী কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর কমিটির সুপারিশ সংবলিত একটি রিপোর্ট প্রস্তুত করবে। রিপোর্টটি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সাত কার্যদিবসের মধ্যে পেশ করতে হবে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কমিটির জন্য একটি যথোপযুক্ত দপ্তর ও প্রয়োজনীয় লজিস্টিকস দেওয়ার ব্যবস্থা করবে। সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের সভার সদস্যরা প্রতি সভার জন্য যেভাবে সম্মানি পেয়ে থাকেন, এ কমিটির সদস্যরা একই খাত থেকে সমপরিমাণ সম্মানি পাবেন বলে সংশোধিত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩৫ বছর নির্ধারণের দাবিতে অনেকদিন ধরে আন্দোলন করছেন চাকরিপ্রার্থী ও শিক্ষার্থীরা। সোমবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন আন্দোলনরতরা। তারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকও করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে এ কমিটি গঠন করা হলো।

আরএমএম/এমএএইচ/এমএস