‘ছাত্রদল-শিবিরের যৌথ আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র চলছে’
ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের যৌথ আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করতে ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের চট্টগ্রাম মহানগর নেতারা।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে এক বিবৃতিতে সংগঠনটির নেতারা এ দাবি করেন। সংগঠনটির চট্টগ্রাম মহানগরের (উত্তর) সভাপতি ফখরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি তানজির হোসেন গণমাধ্যমে এ বিবৃতি পাঠান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, চট্টগ্রাম কলেজে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রম নেই। সাম্প্রতিক কোনো ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই। সংঘাতমূলক ঘটনার পর প্রতিবারই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ইসলামী ছাত্রশিবিরের নাম জড়ানোর একটি প্রক্রিয়া চলছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং ভিত্তিহীন।
- আরও পড়ুন
- রাউজানে ছাত্রদলের ২ নেতাকে তুলে নিয়ে মারধর, মৃত ভেবে চরে ফেলে যায়
- চট্টগ্রামে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মারধরের অভিযোগ শিবিরের বিরুদ্ধে
- ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে শিবিরের নামে নানা ট্যাগ দেয় আওয়ামী লীগ
ছাত্রশিবির নেতারা অভিযোগ করেন, বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্রদল ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের যৌথ আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য একটি ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে শিবিরের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হচ্ছে।
সভাপতি ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনের সাফল্যকে ব্যাহত করার জন্য এই ধরনের অপপ্রচার চালানো হচ্ছে এবং জাতীয় ঐক্যকে দুর্বল করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, আমাদের বন্ধুপ্রতিম ছাত্রদলের কিছু কর্মীও অনিচ্ছাকৃতভাবে এই ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। তবে আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, এই ধরনের ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার করে আমাদের ঐক্য বিনষ্ট করা যাবে না। আমরা জাতীয় ঐক্য রক্ষার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এবং সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবো।
ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর শাখার পক্ষ থেকে জানানো হয়, সংগঠনটি অতীতের মতো ভবিষ্যতেও সব ধরনের ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা প্রচারের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে। শিবিরের নেতারা দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন এই ধরনের মিথ্যা প্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে সংগঠনের প্রকৃত অবস্থান সম্পর্কে সচেতন থাকেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে চট্টগ্রাম কলেজে হামলার শিকার হয়েছেন কলেজ শাখা ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মী। ছাত্রশিবির এ হামলা করেছে বলে অভিযোগ জানিয়েছে কলেজ ছাত্রদল।
এএজেড/এসএনআর/জিকেএস