ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

মানবাধিকারকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার জরুরি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:৫৩ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মানবাধিকারকে কেন্দ্রবিন্দুতে রেখে নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারে এখনই অগ্রাধিকার নির্ধারণ জরুরি বলে মনে করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইলেক্টোরাল সিস্টেমসের (আইএফইএস) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকে কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা, সচিব সেবাষ্টিন রেমা ও পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) কাজী আরফান আশিক। আইএফইএস প্রতিনিধিদলে ছিলেন নিনাদ ম্যারিনকোভিচ, ম্যানুয়েল ওয়ালি ও ফার্নেন্দা বুরিল।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়াদি, রাজনৈতিক ও নির্বাচনী সংস্কৃতি, নির্বাচনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতকরণ বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। এছাড়া, নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতা ও নিরাপত্তা, প্রবাসীদের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ ও অধিকার সুরক্ষা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংস্কার, রাজনৈতিক শিষ্ঠাচার ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়।

পাশাপাশি নির্বাচনকালীন নাগরিক ও সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা ও কার্যক্রম নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ প্রতিনিধিদলের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন বিষয়ক সাংবিধানিক দৃষ্টিভঙ্গি, আইনি কাঠামো, বাংলাদেশের নির্বাচনী সংস্কৃতি ইত্যাদি বিষয় উপস্থাপন করেন। তিনি নির্বাচনকালীন মানবাধিকার সুরক্ষার বিষয়ে বিস্তারিত উপস্থাপন করেন। পাশাপাশি কমিশনের পক্ষ থেকে শক্তিশালী নির্বাচনব্যবস্থা ও ইতিবাচক নির্বাচনকালীন সংস্কৃতি নির্মাণে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

প্রতিনিধিদলকে নির্বাচনপূর্ব, নির্বাচনকালীন ও নির্বাচনপরবর্তী মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধ, সুরক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে বর্তমান কমিশন প্রণিত ‘নির্বাচনকালীন মানবাধিকার সুরক্ষা বিষয়ক নির্দেশিকা’ প্রদান করা হয়।

এ সময় কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, এই নির্দেশিকা প্রণয়নের পেছনে মানবাধিকার ও নাগরিক অধিকার সুরক্ষার পাশাপাশি রাজনৈতিক সহনশীলতা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখাই ছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উদ্দেশ্য। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান, নির্বাচনী প্রার্থী, নাগরিক ও ভোটারসহ সবার অধিকার, দায়িত্ব ও করণীয় সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির বিষয়ে জানান। জাতিগত, ধর্মীয় ও অন্যান্য পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার সুরক্ষা ও মর্যাদাপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ বলে জানান কমিশনের চেয়ারম্যান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে সংস্কারের যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে তা স্থায়ী প্রভাব রাখতে পারবে বলে কমিশন আশা করে। যে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে সে সিদ্ধান্ত স্বাগত জানায় কমিশন। একই সঙ্গে কমিশন বিশ্বাস করে মানবাধিকার অগ্রাধিকার দিয়ে আমাদের নির্বাচনী সংস্কৃতির বিকাশ হবে।

এসএম/কেএসআর/জেআইএম