ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম

মুক্তিযোদ্ধার নামের আগে ‘বীর’ শব্দ ব্যবহারের গেজেট বাতিল হবে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:৪৮ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সব ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধাদের নামের আগে ‘বীর’ শব্দটি ব্যবহারের বিধান করে ২০২০ সালে গেজেট প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। সেই গেজেট বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।

সম্প্রতি জাগো নিউজের সঙ্গে একান্ত আলাপে মুক্তিযোদ্ধাদের নামের আগে ‘বীর’ শব্দ ব্যবহারের বিষয়ে এ উপদেষ্টা বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা শব্দটিই বীরত্বব্যঞ্জক। মুক্তিযোদ্ধার আগে কেন আলাদা করে ‘বীর’ শব্দ লাগাতে হবে। যারা এ (বীর) শব্দটি যুক্ত করতে বলছেন, তারা কি মুক্তিযোদ্ধা শব্দটিকে বীরত্বব্যঞ্জক মনে করেননি?’

প্রায় চার বছর আগের এ সংক্রান্ত গেজেটটি বাতিল করা হবে কি না- জানতে চাইলে ফারুক-ই-আজম বলেন, ‘কেন করবো না? এটি তো অসঙ্গতি। আমি তো সংস্কার করতে এসেছি। যেহেতু ‘বীর’ শব্দটি যুক্ত করতে বলছে, তার মানে ‘অ-বীর’ কেউ মুক্তিযোদ্ধা আছেন, ‘ভীত’ কোনো মুক্তিযোদ্ধা আছেন। এটি কেন করতে হবে?’
‘আমি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি, এটি একটি গৌরবের ব্যাপার। সেখানে ত্যাগের বিষয়টি মহিমান্বিত হবে, সেখানে বীরত্বের বিষয়টি মহিমান্বিত হবে। সেখানে আরোপিত কোনো জিনিস দিয়ে তো হবে না’- বলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এ উপদেষ্টা।

সব ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধাদের নামের আগে ‘বীর’ শব্দ ব্যবহারের বিধান রেখে ২০২০ সালের অক্টোবরে গেজেট প্রকাশ করে সরকার। গেজেটে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০১৮’ এর ধারা ২(১১) এ মুক্তিযোদ্ধাগণকে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। ওই আইনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এবং একাদশ জাতীয় সংসদের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১৩তম বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সব ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধাদের নামের পূর্বে ‘বীর’ শব্দটি ব্যবহার করতে হবে।

পরের বছর ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’র ইংরেজি প্রতিশব্দ ‘Heroic Freedom fighter (হিরোইক ফ্রিডম ফাইটার)’ নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

আরএমএম/এমকেআর/জেআইএম