ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

প্রত্যাশা সহসাই নতুন ইসি, রুটিন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন সচিব

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:৪৫ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি) একযোগে পদত্যাগ করায় সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানে শূন্যতা তৈরি হয়েছে। তবে এরই মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে ড. বদিউল আলম মজুমদারকে নিয়োগ দিয়েছে অন্তবর্তীকালীন সরকার। এর ফলে দ্রুতই সিইসিসহ চার কমিশনার নিয়োগ দেওয়া হবে বলে প্রত্যাশা করছে কমিশন।

তবে কমিশনের রুটিন কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন নির্বাচন কমিশন সচিব শফিউল আজিম। এতে করে কিছু কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। তবে রুটিন কাজে সমস্যা হচ্ছে না বলে জানান শফিউল আজিম।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছাড়া বড় সিদ্ধান্ত নিতে কোনো সমস্যা হবে কি? এই বিষয়ে সচিব বলেন, রুটিন কাজে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। তবে কোনো কিছুর সিদ্ধান্তের বিষয়ে তখন আমরা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে অবগত করি। তখন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সব কিছু সমাধান করে দেয়। তবে রুটিন কাজে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।

কবে নাগাদ সিইসিসহ অন্য কমিশনার নিয়োগ হতে পারে? এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, যেহেতু নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে ড. বদিউল আলম মজুমদারকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সুতরাং খুব বেশি সময় লাগবে না বলে মনে করি। আশা করি খুব বেশি সময় লাগবে না।

চলতি বছরের ৫ সেপ্টেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) পদ থেকে কাজী হাবিবুল আউয়াল এবং নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে তার অন্য চার সহকর্মী একযোগে পদত্যাগ করেন। ফলে নির্বাচন কমিশন এখন শূন্য। কত দিনের মধ্যে এই শূন্যতা পূরণ করতে হবে তার কোনো বাধ্যবাধকতা আইনে নেই। সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠার বিষয়ে বলা আছে। সেখানে নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ সম্পর্কে বলা থাকলেও কোনো পদ শূন্য হওয়ার কত দিনের মধ্যে তা পূরণ করতে হবে সে বিষয়ে কিছু নেই। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইনেও এ বিষয়ে কিছু উল্লেখ নেই।

অবশ্য বিভিন্ন সময় নির্বাচন কমিশন শূন্য থাকার নজির আছে। ২০০৭ সালে বিচারপতি এম এ আজিজের নেতৃত্বাধীন কমিশনের পদত্যাগের পর সপ্তাহ খানেক ইসি শূন্য ছিল। ২০২২ সালে কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ করার পর প্রায় ১২ দিন শূন্য ছিল নির্বাচন কমিশন।

এমওএস/এমআইএইচএস/এএসএম