‘ক্ষমা চাই মাফ চাই, আনসারদের মুক্তি চাই’
চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে সচিবালয়ে আন্দোলনের নামে সহিংসতায় জড়িয়ে পড়েন আনসার সদস্যরা। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অনেক আনসার সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তারা এখন কারাগারে। কারাবন্দি এসব আনসার সদস্যদের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও মিছিল করেছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানবন্ধন করেন গ্রেফতার আনসার সদস্যদের পরিবারের সদস্যরা। পরে তারা প্রেস ক্লাব ও আশপাশের এলাকায় মিছিল করেন।
এসময় গ্রেফতার আনসার সদস্যদের পরিবারের সদস্যরা ‘আনসারদের পক্ষ থেকে, মাফ চাই, ক্ষমা চাই’, ‘আনসারদের মুক্তি চাই’ বলে স্লোগান দেন। বিষয়টি নিয়ে উৎসুক জনতারও ব্যাপক আগ্রহ দেখা যায়। অনেকে তাদের দাবি মেনে নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনাও করতে অনুরোধ জানান।
কিশোরগঞ্জের মাহফুজুল হকের স্ত্রী শাকিলা আক্তারও প্রেস ক্লাবে এসেছেন স্বামীর মুক্তির দাবি জানাতে। তিনি বলেন, ‘তিনিতো অন্যদের কথায় আন্দোলনে এসেছিলেন। তিনি কিছু জানতেন না। ভাবছিলেন হয়তো আন্দোলনে গেলে চাকরিটা স্থায়ী হয়ে যাবে।’
শাকিলা আক্তার বলেন, ‘সরকার ও ছাত্রদের কাছে আমরা হাতজোড় করে অনুরোধ জানাচ্ছি, আমার স্বামীকে ছেড়ে দিন। তিনি ভুল করেছেন, তাকে মাফ করে দেন, ক্ষমা করে দেন।’
আরও পড়ুন
- আনসারদের কাজ-দাবি-আন্দোলন: একটি পর্যালোচনা
- কর্মস্থল ত্যাগ করা আনসারদের চাকরি স্থগিত, অস্ত্র প্রত্যাহার: ডিজি
- সচিবালয়ে আনসারদের হামলায় নিহত শাহিনের দাফন
জয়পুরহাট থেকে এসেছেন শামসুল ইসলাম। বড় বোনের স্বামী আবু নাসের আনসার সদস্য হিসেবে চাকরি করতেন। গত ২৫ আগস্টের আন্দোলনে যোগ দেন তিনি। এরপর তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে নাসের কারাগারে।
আবু নাসেরের মুক্তির দাবি জানিয়ে তার শ্যালক শামসুল বলেন, ‘আমরা ক্ষমা চাইতে এসেছি। আনসার সদস্যদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা হয়েছিল। সেখানে আমার দুলাভাই আবু নাসের না জেনে, না বুঝে যোগ দিয়েছিলেন। আমার দুইটা ভাগ্নি। তারা বাবাকে না পেয়ে অসহায়। আমার বোন দুই মেয়ে নিয়ে সংসার চালাতে পারছেন না। সরকার যদি তাদের সাধারণ ক্ষমা করে চাকরিটা ফিরিয়ে দেয়, তাহলে আমরা কৃতজ্ঞ থাকবো।’
এর আগে চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে গত ২৫ আগস্ট সচিবালয় ঘেরাও করেন আনসার সদস্যরা। পরে ভাঙচুর এবং শিক্ষার্থী ও সেনা সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে ঢাকার ৪ থানায় মামলা করে পুলিশ।
মামলায় এজাহারনামীয় ৪২৬ এবং অজ্ঞাতনামাসহ ১০ হাজার আনসার সদস্যকে আসামি করা হয়। মামলায় গ্রেফতার করা হয় বেশ কয়েকজন আনসার সদস্যকে। তারা বর্তমানে কারাগারে।
এএএইচ/এমআইএইচএস/এমএস