ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

হালদা রক্ষা প্রকল্প

৭ কোটি টাকায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের বদলে হবে মৎস্য অফিস

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১০:৫৮ এএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীর জীববৈচিত্র্য ও মৎস্য সম্পদ রক্ষায় নেওয়া দ্বিতীয় প্রকল্পে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এ প্রকল্পের অধীনে রাউজান-রাঙামাটি সড়কের হালদা সেতু পয়েন্টে সাত কোটি টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল করার পরিকল্পনা বাদ দেওয়া হয়েছে। ওই টাকায় হালদাপাড়ের উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্তে মৎস্য বিভাগের দুটি অফিস করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রকল্প পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, ‘প্রকল্পের অধীনে ৭ কোটি টাকায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণ করার কথা ছিল। ম্যুরালের ওই কাজ বাদ দেওয়া হয়েছে। ওই টাকায় হালদাপাড়ের সর্তাঘাট ও মদুনাঘাটে মৎস্য বিভাগের দুটি অফিস করা যায় কিনা অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠকের পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

২০২৩ সালে ৪৬ কোটি ৩৭ লাখ ৭২ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছিলো মৎস্য বিভাগ। এ প্রকল্পের অধীনে নদীর দুই পাড়ে রাউজান ও হাটহাজারী অংশে থাকা ৬টি পুরাতন হ্যাচারি সংস্কার, হ্যাচারিগুলোর সঙ্গে থাকা পুকুর সংস্কার, ডিম সংগ্রহকারী ও মৎস্য কর্মকর্তা–কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, নদী দূষণমুক্ত ও নদীতে মাছ শিকারসহ অবৈধ তৎপরতার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনাসহ জীববৈচিত্র্য রক্ষায় আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত, দরিদ্র জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান করা, অংশীজনদের নিয়ে ওয়ার্কশপ, সেমিনার ও গবেষণা করার কথা বলা হয়েছিল। প্রকল্পের কাজ শেষের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২৭ সালের জুন মাস পর্যন্ত।

৭ কোটি টাকায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের বদলে হবে মৎস্য অফিস

কিন্তু এক বছর আগে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এর বাস্তবতা এখনো দৃশ্যমান নয়। হ্যাচারিগুলোর অবস্থা আগের মতো ভঙ্গুর। নদীতে জাল পাতা বন্ধ হয়নি। নদীপাড়ে নৌ পুলিশের ক্যাম্প থাকলেও মা মাছ চোরদের বিরুদ্ধে অভিযান নেই বলে অভিযোগ হালদার সুফলভোগীদের।

প্রকল্প পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, ‘প্রকল্পের কাজে গতি বাড়ানোর কাজ চলছে। হালদার মাছ রক্ষা ও দূষণ চিহ্নিত করার কাজে স্থানীয় মৎস্যজীবীদের মধ্য থেকে ৪০ জন লোক নিয়োগের জন্য দুই উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তাদের কাছে নামের তালিকা চাওয়া হয়েছে।’

‘এছাড়া অকেজো থাকা হ্যাচারিগুলো মেরামত ও তিনটি হ্যাচারি নতুন করে প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব বিভিন্ন মহল থেকে আসছে। অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠকের পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে দ্বিতীয় প্রকল্পের কাজ শেষ করার বিষয়ে তিনি আশাবাদী।’

এএজেড/এমএএইচ/জিকেএস