ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

র‍্যাবের সংস্কার নিয়ে অগ্রগতি মার্কিন প্রতিনিধিদলকে জানালো সরকার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:১০ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

র‍্যাবের সংস্কার নিয়ে যেসব কাজ করা হয়েছে সেগুলো সম্পর্কে মার্কিন প্রতিনিধিদলকে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ঢাকা সফররত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।

র‍্যাবের নিষেধাজ্ঞা তোলার বিষয়ে এবং নির্বাচন করার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার প্রশ্নে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, র‍্যাবের সংস্কার নিয়ে যেসব কাজকর্ম করছি সেগুলো সম্পর্কে তাদের অবহিত করেছি। এটা একটা চলমান আলোচনা। নির্বাচন নিয়ে কোনো সহায়তা চাওয়া হয়নি।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে, এক মাসের একটু বেশি। অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে তারা এক যুগে কাজ করতে চায় এবং সেটার প্রতিফলন হিসেবে সরকার গঠনের দ্বিতীয় মাসের প্রথমে তারা এ প্রতিনিধিদলটি পাঠায়। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার তারা পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

জসীম উদ্দিন বলেন, সরকারের সংস্কার পরিকল্পনা সম্পর্কে তারা জানার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন। আজকের বৈঠকে পরিবর্তীত পরিস্থিতি এবং সরকারের সংস্কার বিষয়ে যেসব ধ্যান-ধারণা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে তা সম্পর্কে একটা সাধারণ আলোচনা হয়েছে। আমরা আর্থিক সংস্কারে যেসব প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করেছি এসব সেক্টরে যুক্তরাষ্ট্র সার্বিকভাবে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।

তিনি বলেন, সরকারের বিশেষ অগ্রাধিকার বিবেচনায় আর্থিক খাত ও রাজস্ব খাতে সংস্কারের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য সহযোগিতার ক্ষেত্র দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এতে করে যুক্তরাষ্ট্র পরিবর্তীত পরিস্থিতি সম্পর্কে একটা সম্যক ধারণা পেল এবং সরকার কি করতে চায় সে সম্পর্কেও একটা ভালো ধারণা পেল। আমরা আশা করি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অর্থবহভাবে যুক্ত হওয়ার জন্য এটা একটা ভীত্তি এবং পরবর্তীতে আমরা হয়তো বিভিন্ন পর্যায়ে এ আলোচনাকে চালিয়ে নিয়ে যাবো।

পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরানো নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা নিয়ে করা প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, আজ অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ ও ইউএসএআইডির মধ্যে বার্ষিক সহযোগিতা চুক্তি হয়েছে। আমরা বিস্তারিতভাবে আর্থিক খাতের সংস্কারের কথা বলেছি। পাচার হওয়া অর্থ অন্যান্য বিষয়ে প্রাথমিক কথা হয়েছে। এ বিষয়ে হয়তো যুক্তরাষ্ট্রের যে সক্ষমতা আছে সেটা আমরা ব্যবহার করবো। আলোচনটা মাত্র শুরু হয়েছে। এটার হয়তো চূড়ান্ত রুপরেখা করতে কিছুটা সময় লাগবে।

সুনির্দিষ্ট কোনো সহায়তা চাওয়া হয়েছে কি না? জানতে চাইলে জসীম উদ্দিন বলেন, এটা প্রথমিক আলোচনা ছিল। বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হবেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনের সঙ্গে আলোচনায় হয়তো সুনির্দষ্ট বিষয়গুলো উঠে আসতে পারে।

শ্রম আইন নিয়ে বৈঠক আলোচনা হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, শ্রম আইন নিয়ে আমরা যেসব পদক্ষেপ নিয়েছি সেগুলো তাদের অবহিত করেছি এবং তারা পদক্ষেপ সম্পর্কে নোট নিয়েছেন। এগুলোকে তারা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি বলে স্বীকৃতি দেন। এ ক্ষেত্রে এ আলোচনাটা কনটিনিউ করবে।

তৈরি পোশাক খাতে যে অস্থিরতা চলছে এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ আছে কি না এবং জি এস পি প্লাস ফিরে পাওয়া নিয়ে আলোচনার প্রশ্নে জসিম উদ্দিন বলেন, আজকের বৈঠকে এ ধরণের কোনো কথা হয়নি। জি এস পি নিয়ে একটা সাধারণ আলোচনা হয়েছে। এটার যে প্রক্রিয়া এ সম্পর্কে কথা হয়েছে।

প্রতিরক্ষা ক্রয় নিয়ে আজকের বৈঠকে আলোচনা হয়নি বলেও জানান পররাষ্ট্রসচিব। তিনি জানান, ডিএফসি (ডেভলমেন্ট ফাইন্যান্স করপোরেশন) থেকে অর্থায়ন পাওয়া নিয়ে একটা সাধারণ আলোচনা হয়েছে। কিন্তু সুনির্দিষ্ট আলোচনা হয়নি।

বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জসীম উদ্দিন জানান, আমরা বলেছি এটা একটা দীর্ঘমেয়াদি ইস্যু। এটার সমাধান হওয়া উচিৎ। তারা সম্প্রতি যে সমস্ত উন্নয়ন হয়েছে সেটার বিষয়ে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

আইএইচআর/এমআইএইচএস/জেআইএম