বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে উন্নয়ন সংস্থা পপির ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ
সাম্প্রতিককালের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৩ হাজার ৮৮০ পরিবারকে দ্বিতীয় দফায় ত্রাণ সহায়তা দিয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পপি।
বন্যার শুরু থেকে শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত এই ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। বন্যা কবলিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি জেলায় সর্বমোট ১ লাখ ৬৬ হাজার ৫৬০ কেজি ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
সংস্থাটি দ্বিতীয় দফার এ ত্রাণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ১৩ হাজার ৮৮০টি পরিবারকে এ ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছে। বন্যা শুরুর সময় থেকেই উন্নয়ন সংস্থাটি কুমিল্লা জেলার লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, বরুড়া, চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি, লক্ষীপুর জেলা, নোয়াখালী জেলার মাইজদী, চৌমুহনী, কানকিরহাট, ফেনী জেলার মহিপাল, দাগনভূঁইয়া, সোনাগাজী, সেনবাগসহ বিভিন্ন এলাকয়ায় মুড়ি, চিড়া, পাউরুটি, বিস্কুট বিশুদ্ধ খাবার পানি, স্যালাইন, প্যারাসিটামল বিতরণ করে।
প্রাথমিক পর্যায়ে এই সহায়তার পরেই দেশের এই স্বনামধন্য এনজিও দ্বিতীয় পর্যায়ে ত্রাণ সামগ্রী প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ত্রাণ কার্যক্রমের পাশাপাশি পপির সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীর একদিনের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ ত্রাণ সহায়তা হিসেবে প্রদান করেছে। পপির উপকারভোগী ও প্রান্তিক মানুষের মধ্যে এ সব উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।
ত্রাণ সহায়তা নিতে এসে পপির উপকারভোগী সদস্যরা জানান, পপির এই সহায়তার কারণে দুর্যোগের মধ্যেও আমরা কিছুটা স্বস্তি অনুভব করছি। বন্যার মতো বিপদের সময় এভাবে কোনো প্রতিষ্ঠান পাশে দাঁড়ালে সদস্য হিসেবে অন্তরে অন্যরকম সাহস ও শক্তির সঞ্চার হয়, আমাদের ভেতরেও তেমনটা হয়েছে।
ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক মুর্শেদ আলম সরকার। মাঠ পর্যায়ে তা বাস্তবায়নে মুখ্য ভূমিকা রাখেন প্রতিষ্ঠানটির মাইক্রোফিন্যান্স পরিচালক মশিহুর রহমান।
এমএইচএ/এসআইটি/জেআইএম