ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ, ৫২ দিন পর মারা গেলেন বাবলু

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী কমিউনিটি সেন্টার এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন মো. বাবলু মৃধা (৪৭)। গুলিবিদ্ধ হওয়ার ৫২ দিন পর গতকাল সোমবার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। গত ১৯ জুলাই গুলিবিদ্ধ হন বাবলু।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সিএমএইচ থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। নিহত বাবলু ব্যবসার পাশাপাশি রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। তিনি যুবদলের কর্মী ছিলেন বলে জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
নিহত বাবলু মৃধার ভাই রুবেল মৃধা জানান, গত ১৯ জুলাই দনিয়া কলেজের সামনে থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থনে মিছিল বের হয়। ওই মিছিলে গুলিবিদ্ধ হন বাবলু। এরপর তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঢামেক হাসপাতালে আনা হয়। পরে সেখান থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার মারা যান বাবলু।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
- গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে সভা ১৪ সেপ্টেম্বর, ব্যয় ৫ কোটি টাকা
- সীমান্ত হত্যার প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেন ভারতীয় হাইকমিশনার
পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলার খরিজা বেতাগী গ্রামের মফেজ আলী মৃধার সন্তান বাবলু। কর্মসূত্রে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর দনিয়া এলাকায় বসবাস করতেন। তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৬১ নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মী ছিলেন।
৬১ নং ওয়ার্ড যুবদলের আহ্বায়ক মাসুদ জানান, গত ১৯ জুলাই আমরা মিছিল বের করি। ওই মিছিলে বাবলু ভাইয়ের পেটে গুলি লাগে।
বিজ্ঞাপন
যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কামরুজ্জামান জানান, বাবলু মৃধা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সিএমএইচে ভর্তি ছিলেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল মারা যান। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
কাজী আল-আমিন/কেএসআর/এমএস
বিজ্ঞাপন