রাজধানীতে গরম-যানজটে দুর্বিষহ জনজীবন
বর্ষা মৌসুম শেষ হতে এখনো বাকি। তবে বর্ষা শেষ না হলেও দেশে বৃষ্টির প্রকোপ কমেছে। ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি থেকে সারাদেশে তাপমাত্রাও বেড়েছে। এ অবস্থায় সারাদেশের মতো গরম বেড়েছে রাজধানীতেও। সেই সঙ্গে তীব্র যানজট। গরম-যানজটে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ঝকঝকে আলো পেরিয়ে মেঘের দেখা মেলে রাজধানীর আকাশে। কয়েকটি এলাকায় হালকা বৃষ্টিও হয়। বৃষ্টির পরপর অনুভূত হতে থাকে ভ্যাপসা গরম। অন্যদিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় গাড়ির চাপ বাড়তে থাকে। নগরীর বিভিন্ন জায়গায় সৃষ্টি হয় যানজট।
এদিন রাজধানীর কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, গুলিস্তান, পল্টন, মগবাজার, বাড্ডা সড়কে যানজট দেখা যায়। থেমে থেমে চলতে দেখা যায় গাড়ি। তীব্র গরমের সঙ্গে যানজটে ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রীদের।
পল্টন মোড়ে ভিক্টর পরিবহনের একটি বাসে কথা হয় ব্যবসায়ী সালাহউদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সদরঘাট থেকে গাড়িতে উঠেছি, এক ঘণ্টায় মনে হয় তিন কিলোমিটার আসছি। প্রতিটি মোড়ে সিগন্যাল। এর মধ্যে গরমে ঘামতে ঘামতে ক্লান্ত হয়ে গেছি। বনশ্রী যাবো, পৌঁছাতে কতক্ষণ লাগবে জানি না।’
- আরও পড়ুন
- দুই বিভাগ ও পাঁচ জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ
- সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত, ঝোড়ো বৃষ্টির আভাস ৯ অঞ্চলে
এই মোড়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ সদস্য বলেন, ‘প্রতিদিন এই মোড়ে ঝামেলা হয়। কেউ কথা শোনে না। গুলিস্তান জিরো পয়েন্টের দিকে গাড়ি আগায় না। যে যেভাবে পারে সিগন্যাল ছাড়াই ফাঁকা দেখলে চলে যায়।’
রামপুরা ব্রিজে কথা হয় রাইদা পরিবহনের চালক ইব্রাহিমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘রামপুরা ব্রিজ থেকে বাড্ডা লিংক রোড যেতে আধাঘণ্টার বেশি সময় লাগে। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কারণে এখন যানযট আরও বেড়ে গেছে। এর মধ্যে অসহনীয় গরম।’
বাসের চালক-যাত্রীদের মতো রাইড শেয়ারিংয়ের মোটারসাইকেলের চালক-যাত্রীদেরও গরম যানজটে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। একজন পথচারীর সঙ্গেও কথা হয় এদিন। লিমন নামে ওই পথচারী বলেন, ‘লোকাল বাসে ওঠা যাচ্ছে না। বাইরেও অনেক রোদ। বিভিন্ন মোড়ে ট্রাফিক নেই, যা তা অবস্থা। আজ বের হয়ে খুবই কষ্ট হচ্ছে।’
এদিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তা কমেছে। পাশাপাশি দীর্ঘদিন পর ফিরে এসেছে তাপপ্রবাহ। দেশের দুটি বিভাগ ও পাঁচটি জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় গরম আরও বাড়তে পারে।
আরএএস/ইএ/জিকেএস