ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ব্লগার হত্যা মামলার তদন্তে ধীরগতি

প্রকাশিত: ০৩:১৫ পিএম, ০২ মে ২০১৬

ব্লগার হত্যা মামলাগুলো আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর কাছে খুব বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে না। ফলে এই মামলার তদন্তে ধীর গতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অথচ পুলিশ হত্যাকাণ্ডে দায়ের হওয়া মামলাগুলোকে দ্রুত নিষ্পতি করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বিভিন্ন ঘটনায় পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার জেরে দায়ের করা ১৩টি মামলার মধ্যে ১২টির চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। অপরদিকে ১১ জন ব্লগার হত্যা মামলার মধ্যে মাত্র একটির বিচার হয়েছে। এর মধ্যে ৭টি মামলাই রয়েছে তদন্তাধীন। তবে ৩টি বিচার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

সোমবার পুলিশ সদর দফতরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ২০১৬ সালের প্রথম ত্রৈ-মাসিক (জানুয়ারি-মার্চ) অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হকের সভাপতিত্বে দিনব্যাপী এ সভায় সকল পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধানগণ এবং পুলিশ সদর দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় থেকে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান এবং সুষ্ঠু আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে আরো সতর্ক ও তৎপর থাকার জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন আইজিপি।

সভায় বলা হয়, পুলিশ সদস্যগণ নিজেদের জীবন উৎসর্গ করতে দ্বিধাবোধ করেন না। জননিরাপত্তা বিধানকালে পুলিশ হতাহতের ঘটনায় সারাদেশে বিভিন্ন পুলিশ ইউনিটে মোট ১৩টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ১২টি মামলায় চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। বর্তমানে একটি মামলা তদন্তাধীন রয়েছে।

সভায় ব্লগার হত্যা মামলার অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সভায় জানানো হয়, ১১টি ব্লগার হত্যা মামলার মধ্যে একটি মামলার বিচার হয়েছে। তিনটি মামলা বিচারাধীন এবং সাতটি মামলা বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। খুব শিগগিরই বাকি সব মামলার তদন্ত কাজ শেষ করে চার্জশিট দাখিলের তাগিদ দেন আইজিপি। তাছাড়া নারী ও শিশু নির্যাতন, অপহরণ, দস্যুতা ইত্যাদি মামলা বিশেষ গুরুত্বসহকারে তদন্তের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভায় জানানো হয়, মামলার তথ্য ক্রাইম ডাটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে (সিডিএমএস) অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। সিডিএমএস-এ মামলার নথি হালনাগাদ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে তাগিদ দেয়া হয়।

সভায় পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. জহিরুল ইসমাল ভূঁইয়া জানুয়ারি-মার্চ মাসের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি তুলে ধরেন। পর্যালোচনায় দেখা যায়, দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি গত তিন মাসের তুলনায় ভাল।

২০১৫ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর মাসে সারাদেশে মোট মামলা হয়েছে ৪৪ হাজার ২শ ১৫টি। আলোচ্য কোয়ার্টারে অর্থ্যাৎ জানুয়ারি-মার্চ/২০১৬ সময়ে মামলার সংখ্যা হ্রাস পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ হাজার ২শ ৬৯টি। সারাদেশে আলোচ্য সময়ে খুন, দ্রুত বিচার, দাঙ্গা, ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, শিশু নির্যাতন ইত্যাদি মামলার পরিমাণ কমেছে।

অপরদিকে ডাকাতি, দস্যুতা, অপহরণ, সিঁধেল চুরি, চুরি মামলার সংখ্যা বেড়েছে। একই সময়ে মাদকদ্রব্য এবং চোরাচালান দ্রব্য উদ্ধারের পরিমাণ বেড়েছে। আলোচিত সময়ে পুলিশ কর্তৃক বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধারের পরিমাণও বেড়েছে।

আলোচ্য কোয়ার্টারে মোটরকার, মাইক্রোবাস, জিপ, মোটর সাইকেল, বেবি ট্যাক্সিসহ বিভিন্ন ধরণের ৫শ ৬২টি গাড়ি চুরির মামলা হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কম।

২০১৫ সালের জানুয়ারি-মার্চ কোয়ার্টারে গাড়ি চুরির মামলা হয়েছে ৬শ ২৩টি। আলোচ্য কোয়ার্টারে ৫শ ৬২টি চুরি যাওয়া গাড়ির মধ্যে ৪শ ৪৬টি গাড়ি উদ্ধার হয়েছে, গাড়ি উদ্ধারের হার শতকরা প্রায় ৮০ শতাংশ।

সভায় পুলিশ টেলিকম অ্যান্ড ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট এর অতিরিক্ত আইজিপি অমূল্য ভূষণ বড়ুয়া, এসবির অতিরিক্ত আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশ’র রেক্টর ফাতেমা বেগম, সিআইডির অতিরিক্ত আইজিপি শেখ হিমায়েত হোসেন, অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন ও অপারেশনস্) মো. মোখলেসুর রহমান, বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির প্রিন্সিপাল মো. নজিবুর রহমান, ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, এপিবিএন’র অতিরিক্ত আইজিপি সিদ্দিকুর রহমান, অতিরিক্ত আইজিপি (ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) মো. আবুল কাশেম প্রমুখ এবং পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

জেইউ/এসকেডি/একে/এবিএস

আরও পড়ুন