ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ধর্ম উপদেষ্টা

সরকারকে বিব্রত করতে একশ্রেণির মতলবি মানুষ মাঠে নেমেছে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:৩৭ পিএম, ৩০ আগস্ট ২০২৪

সরকারকে বিব্রত করার জন্য একশ্রেণির মতলবি মানুষ মাঠে নেমেছে বলে মন্তব্য করেছেন ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।

শুক্রবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির প্রাঙ্গণে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। জন্মাষ্টমী উদযাপন উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকারকে বিব্রত করার জন্য একশ্রেণির মতলবি মানুষ মাঠে নেমেছে। এদের প্রতিহত করতে হবে। উপাসনালয়ে যারা হামলা করে এরা মানুষ নয়, এরা পশু। এদের প্রচলিত আইনে কঠোর শাস্তির বিধান করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘আবহমানকাল থেকেই এ দেশে অসাম্প্রদায়িক আবহ বিরাজমান। এটাকে কোনোক্রমেই নষ্ট করতে দেওয়া যাবে না। আমাদের দেশের নানান ধর্মের বৈচিত্র্য রয়েছে। এটা আমাদের ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্যকে আমরা লালন করতে চাই, ধারণ করতে চাই এবং বিশ্ববাসীকে আমরা দেখিয়ে দিতে চাই।’

ড. খালিদ হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশের সীমানার ভিতরে স্পষ্ট দলিল আছে এমন কোনো দেবোত্তর সম্পত্তি যদি কেউ দখল করে থাকে, তাদেরকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় উচ্ছেদ করা হবে। এছাড়া, কোনো দেবোত্তর সম্পত্তি নিয়ে আদালতে মামলা থাকলে সেটাও দ্রুত সময়ে নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

এ সময় তিনি মন্দিরের নিরাপত্তায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন ও তদারকি ব্যবস্থা জোরদার করার পরামর্শ দেন।

ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সুন্দর কথা বলা সহজ, কিন্তু সুন্দর কাজ করা কঠিন। সুন্দর কথাকে অবশ্যই কাজে পরিণত করতে হবে। আমরা সুন্দর কথা যেমন বলবো, তেমনই সুন্দর কাজও করে যাবো। আমরা সুন্দর, শান্তিময়, সুখী ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়তে চাই। এক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।’

এর আগে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ‘এদেশে আমরা-আপনারা বলতে কোনো কথা নেই। আমরা সবাই বাংলাদেশের জনগণ। আমরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক এবং সব নাগরিকের সমান অধিকার আছে। আমরা সরকারের দায়িত্বে থাকাকালীন অবস্থায়, শেষ দিন পর্যন্ত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং আমাদের মধ্যকার ঐক্যকে রক্ষায় বদ্ধপরিকর।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর, সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, ইসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী, রমনা ক্যাথলিক চার্চের ধর্মগুরু ফাদার এলবার্ট রোজারিও, ঢাকা আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারের উপাধ্যক্ষ ভদন্ত বুদ্ধানন্দ মহাথের প্রমুখ।

আরএমএম/কেএসআর/এএসএম