ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

চট্টগ্রামে চিকিৎসকের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:২৬ এএম, ২৬ আগস্ট ২০২৪

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বেসরকারি একটি ক্লিনিকে চিকিৎসকের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। রোববার (২৫ আগস্ট) উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী এক ব্যক্তি।

একই সঙ্গে চিকিৎসকের অবহেলার বিষয়টির কথা নিশ্চিত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা সিভিল সার্জনকে এক চিঠিতে জানিয়েছেন ওই ক্লিনিকের ব্যবস্থাপক।

গত শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে সীতাকুণ্ড ন্যাশনাল হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই নবজাতকের।

ভুক্তভোগী ফরহাদ হোসেন সাকিব তার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, গত বুধবার (২১ আগস্ট) বিকেলে তার স্ত্রীকে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করানোর জন্য সীতাকুণ্ড ন্যাশনাল হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাদিয়া রহমান গর্ভের শিশুর অবস্থা খারাপ বলে উল্লেখ করে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তির জন্য বলেন। ওই চিকিৎসক প্রথমে নরমাল ডেলিভারি হওয়া সম্ভব, এমনটা জানান। পরে সিজার করা হয়। অপারেশনের মাধ্যমে মৃত সন্তান জন্ম দেন ওই নারী।

ফরহাদ আরও অভিযোগ করেন, নরমাল ডেলিভারির কথা বলে তার স্ত্রীকে হাসপাতালে আটকে রাখা হয়। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডা. কানিজ নাসিমা আক্তার নামে একজন চিকিৎসককে এনে সিজারিয়ান অপারেশন সম্পূর্ণ করে।

ফরহাদ হোসেন সাকিব বলেন, ‘মূলত ডা. সাদিয়া রহমানের চরম অবহেলার কারণে সিজারিয়ান অপারেশন করতে অনেক দেরি হওয়ায় আমার বাচ্চার মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণ অপারেশন সরঞ্জামের ব্যবস্থা ছিল না এবং ডা. সাদিয়া রহমানের অপারেশনের কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না।’

এদিকে, সীতাকুণ্ড ন্যাশনাল হাসপাতালের ব্যবস্থাপক মো. বেলাল হোসেন জেলা সিভিল সার্জনকে পাঠানো এক চিঠিতে উল্লেখ করেন, নবজাতকের মৃত্যুতে ডা. সাদিয়া রহমানের অবহেলার বিষয়টি স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এ বিষয়ে তথ্য-প্রমাণসহ ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান হাসপাতালের ব্যবস্থাপক।

তিনি বলেন, ‘ভর্তি হওয়া ওই রোগী ডা. সাদিয়া রহমান ও নার্স বিবি খাদিজা এবং সহকারী নার্স শামসুন নাহারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অবস্থার অবনতি হলেও প্রায় ২০ ঘণ্টা পর বিকেল ৪টায় জেনারেল হাসপাতাল থেকে চিকিৎসক এনে অপারেশন করানো হলে বাচ্চাটিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। এতে ডা. সাদিয়া রহমানের অবহেলার বিষয়টি স্পষ্টভাবে প্রমাণিত। সিভিল সার্জনকে ঘটনাটি তদন্ত পূর্বক দায়ী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।’

এ বিষয়ে জানতে চিকিৎসক ডা. সাদিয়া রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এএজেড/এসএনআর/জেআইএম