সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ গ্রেফতার
জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ ও টানা আটবারের সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাতে রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) ওবায়দুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সাবেক চিফ হুইপ ও টানা আটবারের সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজকে বনানী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ আওয়ামী লীগ নেতা আটবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। চলতি বছরের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসন থেকে জয়ী হন তিনি।
একাদশ জাতীয় সংসদের ২৩তম অধিবেশেনে এক নম্বর প্যানেল স্পিকার হিসেবে স্পিকারের আসনে বসে সংসদ পরিচালনাও করেছিলেন আ স ম ফিরোজ।
আ স ম ফিরোজ ১৯৫৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের পটুয়াখালীর বাউফলের কালাইয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইতিহাস বিষয়ে বরিশাল সরকারি বিএম কলেজ থেকে বিএ ডিগ্রি নেন।
ফিরোজ ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি ১৯৬৯-১৯৭০ সালে বিএম কলেজের ছাত্র সংসদের (বাকসু) নির্বাচিত ভিপি ছিলেন। ১৯৭১ সালে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন
আ স ম ফিরোজ ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে পটুয়াখালী-৬ আসন থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির মতিউর রহমান।
১৯৭৯ সাল থেকে তিনি বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে টানা ৪৪ বছর দায়িত্ব পালন করেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। এরপর গত ১৪ অগাস্ট রাতে ঢাকার সদরঘাট এলাকা থেকে গ্রেফতার হন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
পরদিন ১৫ আগস্ট রাতে রাজধানীর নিকুঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতকে।
১৯ আগস্ট রাতে বারিধারা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনিকে। একই রাতে গ্রেফতার করা হয় আওয়ামী লীগ সরকারে সাবেক ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আরিফ খান জয়কে।
টিটি/ইএ