ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ফেনী-কুমিল্লায় ২৪ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির সম্ভাবনা নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:৪১ পিএম, ২১ আগস্ট ২০২৪

আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ফেনী ও চট্টগ্রাম জেলার মুহুরী এবং হালদা নদীর পানি সমতল বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। ফলে এসব এলাকার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

সংস্থাটির নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জাগো নিউজকে বলেন, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালীতে এ বন্যা আকস্মিক। গত কয়েকদিন থেকে টানা বৃষ্টির ফলে জলাবদ্ধতা ছিল। তবে ভারতের বাঁধ খুলে যাওয়ার ফলে নদীগুলোর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে যাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এসব অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির সম্ভাবনা নেই। তবে বৃষ্টি কমে গেলে কিছুটা উন্নতি হতে পারে।

তিনি বলেন, আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে এ সময় এ অঞ্চলের মুহুরী, ফেনী, হালদা, সাঙ্গু, মাতামুহুরী ও গোমতী নদীর পানি সামগ্রিকভাবে স্থিতিশীল থাকতে পারে।

এক বিজ্ঞপ্তিতে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় পূর্বাঞ্চলের কুমিল্লা জেলার গোমতী নদীর পানি সমতল বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। এর ফলে গোমতী নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ফলে এ সময় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার প্রধান নদীগুলোর পানি সমতলে কিছু পয়েন্টে কখনো কখনো বাড়তে পারে।

আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার মনু, খোয়াই, ধলাই নদীর পানি সমতল বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। এসব এলাকার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে।

টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই সঙ্গে কুমিল্লার গোমতী নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। পানি বাড়তে শুরু করেছে নোয়াখালী অঞ্চলেও।

আরএএস/কেএসআর/জিকেএস