আমিরাতে ৫৭ বাংলাদেশিকে মুক্ত করতে মানবাধিকার কমিশনের অভিযোগ গ্রহণ
আমিরাতে বিক্ষোভ করায় ৫৭ বাংলাদেশির কারাদণ্ড শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগ (সুয়োমোটো) গ্রহণ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) মানবাধিকার কমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করায় ৫৭ জন বাংলাদেশিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। তাদের মধ্যে তিনজনকে যাবজ্জীবন, ৫৩ জনকে ১০ বছর এবং বাকি একজনকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আমিরাতের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আমিরাতি নিউজ এজেন্সি (ডব্লিউএএম) সোমবার এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, কারাদণ্ডের মেয়াদ শেষে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
- আমিরাতে ৫৭ বাংলাদেশির সাজা, মুক্তির উপায় কী?
- আমিরাতে ৫৭ বাংলাদেশির পক্ষে লড়তে আইনজীবী নিয়োগ
- আমিরাতে বন্দি ৫৭ বাংলাদেশিকে আইনি সহায়তা দিচ্ছে ফ্লাড
ডব্লিউএএমের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ব্যক্তিরা তাদের নিজ দেশের সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছিলেন। একজন প্রত্যক্ষদর্শী নিশ্চিত করেছেন যে বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তারা সংযুক্ত আরব আমিরাতের বেশ কয়েকটি সড়কে বড় ধরনের বিক্ষোভের আয়োজন করেছিলেন।
সুয়োমোটোতে উল্লেখ রয়েছে, শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে দুবাইয়ে বিক্ষোভ করায় মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ট্রায়াল করে ৫৭ জন বাংলাদেশি নাগরিককে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আদালত কারাদণ্ড দিয়েছে।
এতে বলা হয়, কমিশন মনে করে কোনো বাংলাদেশি নাগরিক প্রবাসে আইনগত জটিলতায় পড়লে আইনি সহায়তা পাওয়ার অধিকার রাখে। এ লক্ষ্যে বর্ণিত ভুক্তভোগীদের আইনগত সহায়তা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা সমীচীন।
এ অবস্থায়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আদালত কারাদণ্ড প্রাপ্ত ৫৭ জন বাংলাদেশি নাগরিককে মুক্ত করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দূতাবাস থেকে কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তা দ্রুত কমিশনকে অবহিত করার জন্য সিনিয়র সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদনের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
এসএম/এমআরএম/এমএস