ছাত্র আন্দোলনে গুলি করে শিশু হত্যা, মানবাধিকার কমিশনের সুয়োমোটো
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন বাড়িতে থেকে গুলিতে শিশু মৃত্যুর বিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগ (সুয়োমোটো) গ্রহণ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত কয়েকটি প্রতিবেদন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নজরে আসে। এরপর এ বিষয়ে কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগ (সুয়োমটো) গ্রহণ করে।
কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের সই করা সুয়োমোটোর বিষয়বস্তুতে বলা হয়, নিহত এসব শিশুর বয়স ৪ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। সব ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য যে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে প্রাণ গেছে শিক্ষার্থীদের। এছাড়াও আরও অনেক শিশু আহত হয়েছে, যাদের অনেকেই এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন
- ‘দলীয়করণে অকার্যকর’ দুদক-এনবিআর ঢেলে সাজানোর পরামর্শ টিআইবির
- ন্যাম ভবন থেকে সাবেক এমপিদের মালামাল নিতে দিলেন না শিক্ষার্থীরা
এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শিশু মৃত্যুর যে মর্মান্তিক চিত্র ফুটে উঠেছে তা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। শান্তিপূর্ণ সভা/সমাবেশ করা সব নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। সেই শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কীভাবে সহিংসতায় রূপ নিয়ে এতগুলো শিশুর প্রাণ কেড়ে নিলো তা প্রকাশ্যে আসা দরকার। নয়জনের মধ্যে (৪ থেকে ১১ বছর) চার শিশু নিজেদের চরম নিরাপদ আশ্রয়স্থল ঘরের মধ্যে (বাড়িতে) পিতামাতার কোলে থেকে গুলিবিদ্ধ হয়। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় যা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। আন্দোলনের সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পৃক্ত না থেকেও এ ধরনের মৃত্যু মানবাধিকারের স্পষ্ট লঙ্ঘন।
সুয়োমোটোয় বলা হয়, আন্দোলনে সম্পৃক্ত না থাকার পরেও কীভাবে এতগুলো নিষ্পাপ প্রাণ ঝরে পড়লো তার প্রত্যকটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া সমীচীন বলে কমিশন মনে করে। এ অবস্থায় প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখিত প্রতিটি শিশু মৃত্যুর দায় নিরূপণ করে দ্রুত প্রতিবেদন পাঠাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিবকে বলা হয়েছে। আগামী ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এসএম/কেএসআর/এএসএম