ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

থানার কার্যক্রম পুনরুদ্ধারে নাগরিক নিরাপত্তা কমিটি গঠনের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:২৪ পিএম, ১০ আগস্ট ২০২৪

থানার কার্যক্রম পুনরুদ্ধার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রতিটি থানা এলাকায় নাগরিক নিরাপত্তা কমিটি গঠনের জন্য সব জেলা পুলিশ সুপার ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (১০ আগস্ট) পুলিশ সদরদপ্তর থেকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর।

ইনামুল হক সাগর বলেন, কমিটির প্রধান লক্ষ্য হবে আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানো। এ লক্ষ্যে কমিটি একটি অ্যাকশন প্ল্যান প্রস্তুত করে মনিটরিং ও মূল্যায়নের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

কমিটির আওতাধীন এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও কমিটির সদস্যদের সমন্বয়ে যৌথ টহল দেওয়ার মাধ্যমে হানাহানি, চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেবে। এলাকায় বিদ্যমান সামাজিক সংঘাত যথা বাড়িঘর ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি নিরসনে ব্যবস্থা নেবে।

স্থানীয় জনসাধারণের জীবন, সম্পদ, স্থাপনা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উপাসনালয়সহ এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা নিয়মিত তদারকিতে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। এলাকার মাদক, ইভটিজিং ইত্যাদি সমস্যা নিরসনে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। এছাড়া স্থানীয় বিভিন্ন ধর্মীয় রাজনৈতিক দলগুলো ও দল-উপদলের মধ্যে বিরাজমান উত্তেজনা নিরসন ও সম্প্রীতি স্থাপনের লক্ষ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

স্থানীয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা কমিটির আকার নির্ধারণ করবেন। গ্রহণযোগ্য আইনজীবী/বিচারক, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা, সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তা, সিনিয়র সিটিজেন, সর্বজন সমাদৃত স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, স্থানীয় জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠনের সভাপতি/সেক্রেটারি, স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, মানবাধিকারকর্মী, নারী অধিকারকর্মী এবং এনজিও প্রতিনিধি কমিটির সদস্য হবেন।

কমিটি পুলিশ সদস্যদের নিরাপত্তা বিঘ্নকারীদের বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ গড়ে তোলা, কেউ যেন কোনো ধরনের উসকানি দিয়ে পরিবেশ ঘোলাটে করতে না পারে সেজন্য জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং পুলিশ সদস্যদের আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতাসহ অন্যান্য কার্যক্রম নেবে।

টিটি/এমএএইচ/জেআইএম