ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

বৃহস্পতিবার লঞ্চের স্পেশাল সার্ভিস চালু

প্রকাশিত: ০১:২৭ পিএম, ২০ জুলাই ২০১৪

ঈদে যাত্রী চাপ সামলাতে বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) থেকে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে চালু হচ্ছে লঞ্চের স্পেশাল সার্ভিস। রবিবার সন্ধ্যা থেকে স্পেশাল লঞ্চ সার্ভিসের টিকিট বিক্রি শুরু হবে। রবিবার দুপুরে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এ ছাড়াও সভায় লঞ্চে লাইফ সাপোর্ট ও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা রাখা, মাঝনদীতে লঞ্চ না রাখা, নৌকা দিয়ে লঞ্চে যাত্রী না উঠানো, ঈদের পূর্বে ও পরে ঢাকা নদী বন্দরের সকল গেট খোলা রাখা, অতিরিক্ত যাত্রী উঠানো বন্ধ, ছাদে যাত্রী বহন না করা, নির্ধারিত অঞ্চলভিত্তিক পন্টুনে নির্দিষ্ট লঞ্চ অবস্থান করা, লঞ্চে মালামাল বহন নিষেধ, টার্মিনালের সামনে রিক্সা-ভ্যান-মোটরসাইকেল রাখা নিষেধ, ডেকের যাত্রীদের জন্য ১০ শতাংশ ভাড়া কম রাখা, লঞ্চে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা ও টার্মিনালে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এদিকে লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী উঠানো বন্ধে বন্দরে নিয়োজিত সমুদ্র পরিবহন অধিদফতরের পরিদর্শক মেরিন ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশ অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়েই লঞ্চগুলোকে পন্টুন ত্যাগ করতে হবে। আর ঈদে নৌপথে সার্বিক শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিআইডব্লিউটিএ, সমুদ্র পরিবহন অধিদফতর, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থা ও বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতির সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সভায়।

এ ছাড়া সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে যাত্রীদের যাতায়ত সুবিধা নিশ্চিত করতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে টার্মিনাল পর্যন্ত একমুখী রাস্তা চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি টার্মিনালে বিআইডব্লিউটিএ’র পক্ষ থেকে মাইকিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে।

অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ সার্বিক পরিস্থিতি দেখভালের জন্য সদরঘাটে বিশেষ স্বেচ্ছাসেবক দল, নৌ কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়াও সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে হকার উচ্ছেদ, চুরি-ছিনতাই রোধে পুলিশকে দায়িত্ব পালন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঈদে নৌ ব্যবস্থাপনার বিষয়ে রবিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিআইডব্লিউটিএ’র সদস্য (পরিকল্পনা ও পরিচালনা) ভোলানাথ দে’র সভাপতিত্বে সভায় বিআইডব্লিউটিএ, কোস্টগার্ড, পুলিশ, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থা, বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতি ও ঘাট শ্রমিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।