ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

অন্তর্বর্তী সরকারের সামনে যত চ্যালেঞ্জ

আল-আমিন হাসান আদিব | প্রকাশিত: ১০:৪০ পিএম, ০৮ আগস্ট ২০২৪

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে জুলাই মাসজুড়ে উত্তাল ছিল দেশ। আগস্টের শুরু থেকে ক্ষণে ক্ষণে পাল্টে যায় দৃশ্যপট। যার চূড়ান্ত পরিণতি ঘটে ৫ আগস্ট। ছাত্র-জনতার একদফা আন্দোলনে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ভেঙে দেওয়া হয় মন্ত্রিসভা, বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয় জাতীয় সংসদ।

শেখ হাসিনার পতন আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রূপরেখা মেনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের উদ্যোগ নেন রাষ্ট্রপতি ও সেনাপ্রধান। ৬ আগস্টে রাতে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধান, ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের দুজন অধ্যাপক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা দীর্ঘ বৈঠক করেন। সেখানে শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ফ্রান্সে থাকা ড. ইউনূস দুবাই হয়ে দেশে ফেরেন বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে। রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন তিনি। গঠিত এ সরকারের সামনে এখন বহু চ্যালেঞ্জ। তরুণদের দাবি মেনে বৈষম্যহীন ন্যায়ভিত্তিক দেশ গড়ার কাজ শুরু করবেন ৮৪ বছর বয়সী এ নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত সরকারের সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে দেশে শান্তি ফেরানো। এরপর ব্যাংকিং খাত গতিশীল করতে হবে। পাশাপাশি শিল্প-কারখানা নিরবচ্ছিন্নভাবে চালু রেখে উৎপাদন স্বাভাবিক করতে হবে। পাশাপাশি প্রশাসন ঢেলে সাজানো, শিক্ষাব্যবস্থা, বিচারব্যবস্থা, বন্দর স্বাভাবিক করার মতো চ্যালেঞ্জ উতরাতে হবে।

আইনশৃঙ্খলা ফেরানো প্রথম চ্যালেঞ্জ
মাসব্যাপী ছাত্রদের আন্দোলন দমনে মাঠে ছিল পুলিশ ও র‌্যাব। আন্দোলন আরও বেগবান হলে সরকার সীমান্ত থেকে বিজিবি সদস্যদের ফিরিয়ে এনে রাজপথে নামায়। কারফিউ ও সেনা মোতায়েনের পরও আন্দোলন দমানো যায়নি। উল্টো পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন শেখ হাসিনা। শুধু পদত্যাগ নয়, দেশও ছাড়েন তিনি। এরপর থানাগুলোতে একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশ সদস্যদের পিটিয়ে হত্যা, থানা থেকে অস্ত্র লুটে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি ভেঙে পড়ে। ৫ আগস্টের পর টানা তিনদিন নিষ্ক্রিয় পুলিশ।

পুলিশ বাহিনী নিষ্ক্রিয়তায় বেড়ে যায় অপরাধ। হত্যা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘরে হামলার খবর আসতে থাকে। অনেকে ফেসবুকে সহায়তার আকুতি জানিয়ে পোস্ট দেন। সবশেষ বুধবার (৭ আগস্ট) দিনগত রাতে ঢাকাসহ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে ডাকাতির আতঙ্ক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী কাজ করলেও তা যথেষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন খোদ সেনাপ্রধান।

আরও পড়ুন

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকার ১২টিসহ সারাদেশে শতাধিক থানায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। লুটপাট হয়েছে বহু থানায়। লুট করা অস্ত্র এখন বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মানুষের হাতে, যা নিয়ে আতঙ্কিত মানুষ। তাছাড়া পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত সব বাহিনীর প্রতি মানুষের আস্থা ফেরাতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সক্রিয়ভাবে দায়িত্বপালন জরুরি। এটি এখন অন্তর্বর্তী সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মোহাম্মদ নুরুল হুদা জাগো নিউজকে বলেন, ‘এখন পুলিশের জন্য কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করে দিতে হবে। পুলিশের মধ্যেও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা বাস্তবায়নের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। পুলিশ সদস্যদের কাজ শুরু করতে বলতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার পুলিশকে দিয়ে জনগণের ওপর মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করেছিল। সেটা আইনানুগ বলপ্রয়োগ করা হয়নি। রাজনৈতিকভাবে সমস্যার প্রকৃত অনুধাবন করতে পারেনি। শিক্ষা নিতে হবে আইনানুগ পন্থায় চলবেন, যেটা আইনানুগ সেটা করবেন।’

শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ জরুরি
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে দীর্ঘদিন উত্তাল বিশ্ববিদ্যালয়। আন্দোলন দমাতে বন্ধ করে দেওয়া হয় সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ও। পাশাপাশি নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের তীব্র অসন্তোষ। তার মধ্যেই কোটা আন্দোলন ঘিরে শিক্ষার্থীদের প্রাণহানি। বহু কোমলমতি শিক্ষার্থীকেও গ্রেফতার করে হয়রানি করা হয়। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন শিক্ষার্থীরা।

অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে পাশে না দাঁড়ানোয় বিব্রত শিক্ষকরাও। পাশাপাশি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরাই জড়িয়ে পড়েছিলেন দলীয় লেজুড়ভিত্তিক রাজনীতিতে। এতে শিক্ষাঙ্গনেও তৈরি হয়েছে অচলাবস্থা। এ অচলাবস্থা কাটিয়ে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আবার ক্লাসে ফেরানোও বড় চ্যালেঞ্জ। থমকে গেছে বহু পরীক্ষা। সংকট সৃষ্টি হয়েছে এইচএসসি পরীক্ষা ঘিরেও। অনিশ্চয়তায় পড়েছেন সাড়ে ১৪ লাখ শিক্ষার্থী।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইমিরেটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন হয়েছেই শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে। ফলে ক্ষতিও বেশি হয়েছে শিক্ষাব্যবস্থার। প্রাণহানি তো বটেও শিক্ষাজীবন নিয়েও অনেকে শঙ্কায়। সেশনজট দূর করা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে, তা কাটিয়ে ওঠা সহজ নয়। তাছাড়া শিক্ষকদের রাজনীতিও অস্থিরতা জিইয়ে রাখার অস্ত্র। সব মিলিয়ে শিক্ষাঙ্গন স্বাভাবিক হতে বহু সময় লাগতে পারে। তবে প্রাথমিক ধাক্কা কাটাতে অন্তর্বর্তী সরকারকে দূরদর্শী পদক্ষেপ নিতে হবে।

ব্যাংকিং খাত গতিশীল করতে হবে
দেশের অর্থনীতির অবস্থা নাজুক, ব্যাংক খাতেও অস্থিরতা। বিগত সরকারের আমলে অনিয়ম, অর্থ আত্মসাৎ, খেলাপি ঋণে লাগামছাড়া ব্যাংকিং খাত। এ খাতে দ্রুত শৃঙ্খলা ফেরাতে নজর দিতে হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ তফসিলি ব্যাংকগুলো স্থিতিশীল করাও এখন বড় চ্যালেঞ্জ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের অবস্থা খুবই খারাপ। এটাকে সম্পূর্ণ ঢেলে সাজাতে হবে। দক্ষ, পেশাদার, সৎ, দেশপ্রেমিক লোকদের দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে ওপরের স্তরগুলো তৈরি করতে হবে, সাজাতে হবে। একটা সাংবিধানিক পদ হতে হবে, হস্তক্ষেপে না।’

ঋণ খেলাপিদের কঠোরভাবে ধরতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘২০০৯ সাল থেকে ঋণ খেলাপিদের জামাই আদর করা হয়েছে। নতুন সরকারকে অবশ্যই খেলাপি ও মুদ্রা পাচারের বিরুদ্ধে, ট্যাক্স ফাঁকির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি পাচারকারীদের অ্যাকাউন্ট এখনো খোলা। টাকা উত্তোলন চলছেই। এটা বন্ধ করতে হবে।’

শিল্প-কারখানায় উৎপাদন স্বাভাবিক করা জরুরি
দেশের চলমান পরিস্থিতিতে দফায় দফায় বন্ধ করে দেওয়া হয় বিভিন্ন শিল্প ও কল-কারখানা। বিশেষ করে পোশাকশিল্প ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। বন্ধ আছে অর্ডারও। এতে ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন, যা দেশকে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির মুখে পড়বে। এখন দ্রুত শিল্প-কারখানায় জ্বালানি নিশ্চিত করাও জরুরি।

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সাবেক সভাপতি ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম জাগো নিউজকে বলেন, ‘কারখানা চালানোর জন্য নিরাপত্তা দরকার। ব্যাংকিং কার্যক্রম, বন্দরের কার্যক্রম, পণ্য পরিবহন ও কাস্টমসে স্বাভাবিক গতি ফিরে আসুক। তাড়াতাড়ি যেন ব্যবসাবান্ধব পরিবেশে যেতে পারি এটাই প্রত্যাশা। আমাদের এখনই ব্যবসায় ফিরতে হবে। এটিই এখন চাওয়া।’

ইভেন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমাদের অর্থনৈতিক সংকট চলছে। ডলারের রিজার্ভ কম। এর মধ্যে বেকারত্ব বাড়ছে। তাই অর্থনীতিতে যারা টাকা ঘুরান, তারা যদি আত্মবিশ্বাস না পান তাহলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য কঠিন হবে। তাই সবাইকে ওই জায়গায় অ্যাকটিভ হতে হবে।’

আস্থা ফেরাতে হবে বিচারব্যবস্থায়
দেশের বিচারব্যবস্থা নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা হলেও প্রত্যক্ষভাবে তা নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এতে জনমনে দেশের নিম্ন ও উচ্চ আদালত নিয়ে অনাস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দেখা দিয়েছে বিশৃঙ্খলাও। শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর বিচারপতিদের পদত্যাগ দাবি করছেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবীরাও। নিয়োগ করা হয়েছে নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল। সবমিলিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর একটি হবে বিচারব্যবস্থায় আস্থা ফেরানো।

প্রশাসন ঢেলে সাজানো জরুরি
দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ ও সরকার পরিচালনায় নিয়োজিত প্রশাসনের কর্মকর্তারা মিলে-মিশে একাকার হয়ে গেছেন। ফলে শেখ হাসিনার পতনের পর সরকারি বিভিন্ন অধিদপ্তর, বিভাগ ও সংস্থার কর্মকর্তারা গা ঢাকা দিয়েছেন অনেকে। আবার অনেকে প্রকাশ্যে থাকলেও কার্যত নিশ্চুপ। পাশাপাশি দলীয় লেজুড়বৃত্তিতে জড়িয়ে পড়ায় বহু কর্মকর্তাকে বদলি; এমনকি বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হতে পারে বলেও আশঙ্কায় রয়েছেন তারা। এমন পরিস্থিতিতে প্রশাসনে যে অস্থিরতা বিরাজ করছে, তা কাটাতে আস্থাশীল নেতৃত্ব জরুরি। সব প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে কর্মকর্তাদের পদায়নে সতর্কতা দরকার।

কূটনৈতিক তৎপরতায় নজর
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা দূতাবাসের কর্মকর্তারাও আতঙ্কগ্রস্ত। তারা আওয়ামী লীগ সরকারের বিশ্বস্ত হওয়ায় তাদের সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। সরিয়ে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নতুন করে এসব দূতাবাসে দক্ষ কর্মকর্তা নিয়োগ জরুরি। পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের ঢাকাস্থ দূতাবাসগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানোও ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

স্বাভাবিক করতে হবে বন্দরগুলো
দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনায়ও তৈরি হয়েছে জটিলতা। সেখানে জমে আছে ৪২ হাজারের বেশি কনটেইনার। দ্রুত জট কাটাতে না পারলে বেসরকারি ডিপোগুলোও চাপে পড়বে। চট্টগ্রাম ছাড়াও মোংলা বন্দরেও অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দরও কার্যত বন্ধ।

বেসরকারি ডিপো মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের (বিকডা) সচিব রুহুল আমিন শিকদার জাগো নিউজকে বলেন, ‘দেশের ১৯টি বেসরকারি ডিপোতে বর্তমানে রপ্তানিপণ্য বোঝাই ৮ হাজার ৬০০, আমদানিপণ্য বোঝাই ১২ হাজার ৭৮৭ টিইইউএস কনটেইনার রয়েছে। ডিপোগুলোতে বর্তমানে খালি কনটেইনার রয়েছে ৪৩ হাজারের মতো।’

চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক জাগো নিউজকে বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় আমরা ২২শ টিইইউএস কনটেইনার ডেলিভারি দিয়েছি। এখনো ৪২ হাজারের কিছু বেশি কনটেইনার বন্দর অভ্যন্তরে রয়েছে। গত কয়েকদিন যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল না থাকায় বন্দর অপারেশনে কিছুটা বিঘ্ন ঘটে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করায় বন্দর অপারেশনের গতিও বেড়েছে। আগের দিন ৪৪ হাজারেরও বেশি কনটেইনার বন্দরে ছিল। এখন যানবাহন চলাচল বাড়ছে। তাই ধীরে ধীরে তা কমে আসবে।’

এএএইচ/এএসএ/এমআইএইচএস