বুধবারের মধ্যে জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ: আইনমন্ত্রী
বুধবারের (৩১ জুলাই) মধ্যে নির্বাহী আদেশে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা জানান।
এর আগে শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলন ঘিরে সংঘাত-সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের সভায় জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি-জামায়াত নৈরাজ্যের মাধ্যমে দেশকে অকার্যকর করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। জাতীয় স্বার্থে দেশবিরোধী অপশক্তি নির্মূল করার জন্য ১৪ দলের বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
- আরও পড়ুন
- ‘জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত সরকার দ্রুত বাস্তবায়ন করবে’
- বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশ্য ছিল গণভবন দখল করা: চিফ হুইপ
- বিএনপি-জামায়াতের জঙ্গিরা আমাদের ওপর থাবা দিয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
কোন প্রক্রিয়ায় জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করা হবে, জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের মধ্যে এ প্রশ্নের জবাব রয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন, এটা ঠিক যে আগামীকালের মধ্যে একটা ব্যবস্থা নেওয়ার। আমি কিছুক্ষণ পরে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বসবো। সেখানে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো কোন আইনি প্রক্রিয়ায় হবে। সেটা যখন আমরা সিদ্ধান্ত নেবো, তখন বলবো।
এর মানে কালকের মধ্যেই কি এ সিদ্ধান্ত হবে, এ বিষয়ে তিনি বলেন, ইনশাআল্লাহ।
আন্দোলন চলমান, এর মধ্যে জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করে পরবর্তীসময় সরকার আবার ঝামেলায় পড়বে কি না, এ বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, দেখেন এই যে নৃশংসতা, যেটি গত ১৬ জুলাই থেকে চালানো হয়েছে। কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে যে সহিংসতা চালানো হয়েছে, যারা কোটাবিরোধী আন্দোলন করছেন তারা কিন্তু জানিয়েছেন এ সহিংসতার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই....। সেক্ষেত্রে আমাদের কাছে তথ্য উপাত্ত আছে, জামায়াত-বিএনপি ও ইসলামী ছাত্রশিবির, ছাত্রদলের যারা জঙ্গি তারাই এটা করেছে।
- আরও পড়ুন
- যে প্রাণগুলো গিয়েছে তারা কি আমাদের সম্পদ নয়?
- সহিংসতায় নিহতদের স্মরণে দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে শোক
- গ্রেফতারের সংখ্যা বাড়াতে নিরপরাধ কাউকে জড়ানো যাবে না: কাদের
আইনমন্ত্রী বলেন, এই দলটাকে যদি নিষিদ্ধ করা হয় তাহলে আইনশৃঙ্খলা এবং দেশের রাজনীতিরও অনেক উন্নতি হবে।
‘কোনো দলকে যদি নিষিদ্ধ করা হয়, তখন সেটি নির্বাহী আদেশেই হয়। সেটি কোনো বিচার বিভাগীয় আদেশে হয় না’ বলেন আনিসুল হক।
তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধের দায়ে বিচার করা এক কথা, আর জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা আরেক কথা। যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াত নিষিদ্ধে আইন (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন) পরিবর্তন বা সংশোধনের যে কথা আমরা লিখেছি। সংশোধন হলেও সেটা হবে, সেটা হলে যেটা হবে, যুদ্ধাপরাধী হিসেবে জামায়াতের বিচার করা হবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধনের বিষয়টি অনেক বছর ধরে ঝুলে আছে, এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এটা আপনারা দেখবেন পরে।
আরএমএম/বিএ/এমএইচআর/এমএস
সর্বশেষ - জাতীয়
- ১ ‘গণঅভ্যুত্থানের আহতরা চিকিৎসা পাচ্ছেন না, রাষ্ট্র কি ঘুমিয়ে আছে?’
- ২ পর্তুগালে ইউএনএওসি গ্লোবাল ফোরামে অংশ নেবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- ৩ এলডিসি দেশগুলোকে ২০০ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দে সমর্থন চাইলো বাংলাদেশ
- ৪ চট্টগ্রামে বিদেশি পিস্তলসহ ৩ কারবারি গ্রেফতার
- ৫ ৪ ঘণ্টা পর ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ট্রেন চলাচল শুরু