ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

উত্তর সিটিতে নাশকতা: বিচারের দাবি মেয়র আতিকের

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:৩৯ এএম, ২৫ জুলাই ২০২৪

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ডিএনসিসি একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। আমাদের কাজ হচ্ছে নগরবাসীকে সেবা দেওয়া, শহর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা। নগরবাসীকে যেন সেবা দিতে না পারি, সন্ত্রাসীরা সেই লক্ষ্য নিয়ে নাশকতা চালিয়েছে ডিএনসিসির বিভিন্ন অফিসে এবং স্থাপনায়। সন্ত্রাসীরা ডিএনসিসির মোট ৬৭টি গাড়ির ক্ষতি করেছে। এর মধ্যে বর্জ্যবাহী ২৯টি গাড়ি সম্পূর্ণভাবে ভস্মীভূত করে দিয়েছে। অফিসারদের ব্যবহারের ২১টি পাজেরো জিপ পুড়িয়ে দিয়েছে। আরও ১৭টি গাড়ি ভেঙে দিয়েছে। এই গাড়িগুলো নগরবাসীর ট্যাক্সের টাকায় কেনা।

তিনি বলেন, জনগণের দুর্ভোগ বাড়াতে সেবামূলক প্রতিষ্ঠান ডিএনসিসিতে সন্ত্রাসীরা নাশকতা চালিয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে জড়িত সবার বিচারের দাবি জানাই।

বুধবার (২৪ জুলাই) দুপুরে মিরপুর-১০ নম্বরে সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত ডিএনসিসির আঞ্চলিক অফিস পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় ডিএনসিসির আঞ্চলিক অফিসের ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ঈদের আগে ৩২টি ডাম্প ট্রাক এবং ৮টি আধুনিক কম্প্যাক্টর ট্রাক আমাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বহরে যুক্ত করেছিলাম। জাপান থেকে আনা হয়েছিল কম্প্যাক্টর ট্রাক। একটি কম্প্যাক্টর দশটি ট্রাকের সমান কাজ করে। আমাদের বর্জ্য পরিবহনের মোট যানবাহনের চারভাগের একভাগ তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। মিরপুর-১০ নম্বর ফুটওভার ব্রিজে অগ্নিসংযোগ করে এটি পুড়িয়ে দিয়েছে। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন এবং অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ করেছিলাম। উত্তরা কমিউনিটি সেন্টার ও মোহাম্মদপুর সূচনা কমিউনিটি সেন্টার সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে। এগুলো জনগণের সম্পদ। সন্ত্রাসীরা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অহিংস আন্দোলনকে ব্যবহার করে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে জনগণের সম্পদ বিনষ্ট করেছে।'

মেয়র বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট অনুরোধ জানাচ্ছি, এই নাশকতায় জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার জন্য। মন্ত্রণালয়ের নিকট আহ্বান জানাচ্ছি, দ্রুত এই নৃশংসতার বিচারের ব্যবস্থা করার জন্য।

ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শনকালে অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মোঃ মঈন উদ্দিন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান, ডিএনসিসির কাউন্সিলরবৃন্দ এবং অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

এমএমএ/এমএইচআর/জেআইএম