আপাতত বন্ধ থাকবে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের দুটি টোলঘরে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ আগুনে মহাখালী ও বনানী টোলঘর পুরোপুরি পুড়ে গেছে। এ কারণে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচাল বন্ধ রেখেছে ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (এফডিইই) কোম্পানি লিমিটেড।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) রাতে বনানী ও পরদিন শুক্রবার বিকেলে মহাখালী টোলঘরে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ আগুন টোলঘর দুটি পুরোপুরি পুড়ে যায়। এরপর থেকে এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচল বন্ধ থাকায় আজ বুধবার (২৪ জুলাই) খিলক্ষেত থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এসময় পুড়ে যাওয়া টোলঘর দুটি পুলিশ সদস্যদের ঘিরে রাখতে দেখা গেছে।
এফডিইইর অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স বিভাগ সূত্র জানায়, আগুনে এফডিইই এর আনুমানিক ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ওই দুই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। এখন কারফিউ পুরোপুরি না ওঠা পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এফডিইই। এক্সপ্রেসওয়ে চালু করার জন্য সরকারের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। কারফিউ পুরোপুরি উঠে গেলে বনানী ও মহাখালী ছাড়া বাকি অংশ যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। হাতে হাতে টোল নিয়ে (ম্যানুয়ালি) যান চলাচল চালু করা যায় কি না, সেটাও ভাবছে প্রতিষ্ঠানটি।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের (কাওলা) সামনে থেকে শুরু হয়ে কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালীতে গিয়ে শেষ হবে এ উড়ালসড়ক। পুরো উড়ালসড়কের দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। হাতিরঝিল-সংলগ্ন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ শেষ হয়েছে। যদিও বাকি কাজ এখন বন্ধ রয়েছে।
এমএমএ/কেএসআর/এএসএম