ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

নিষিদ্ধ ব্রাহমা আমদানি

সাদিকের ইমরান-প্রাণিসম্পদের কর্তাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০২:০৫ পিএম, ১৬ জুলাই ২০২৪

ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে নিষিদ্ধ ব্রাহমা গরু আমদানি, বিক্রি ও দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারের দুই পরিচালক ও সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক ইমরান হোসেনসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৪২০/৪০৯/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯-সহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ ৫ (২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

দুদকের উপ-পরিচালক আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন- কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারের পরিচালক ডা. মো. মনিরুল ইসলাম, পরিচালক (উৎপাদন) ডা. এ বি এম খালেদুজ্জামান, গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারের বায়ার অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার (লিভ রিজার্ভ) ডা. ফিরোজ আহমেদ খান, উপ-পরিচালক (লিভ/রিজার্ভ ট্রেনিং অ্যান্ড রিজার্ভ পদ) ডা. এ বি এম সালাহ উদ্দিন, সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক মো. ইমরান হোসেন এবং ইমরানের বন্ধু তৌহিদুল আলম জেনিথ।

আরও পড়ুন:

গত ৩ জুলাই সাদিক অ্যাগ্রোর মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকার খামার থেকে ব্রাহমা জাতের ৬টি গরু জব্দ করা হয়। গরুর গায়ে থাকা কোড নম্বর দেখে দুদক নিশ্চিত হয়, এগুলো ২০২১ সালে বিমানবন্দরে জব্দ হওয়া ১৮টি গরুর ছয়টি। প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নথিপত্র জাল করে এসব গরু আমদানি করেছিল সাদিক অ্যাগ্রো।

বৈধতা না থাকায় ২০২১ সালে গরুগুলো জব্দ করে বিমানবন্দর কাস্টমস। পরে জব্দ গরুগুলো সাভারের সরকারি গো-প্রজনন কেন্দ্রে পাঠানো হয়। সেখান থেকে নানামুখি কারসাজি করে নিজেদের খামারে নিয়ে যান সাদিক অ্যাগ্রোর ইমরান। সরকারি নিষেধাজ্ঞা না মেনে খামারে এই গরুর প্রজননও ঘটিয়েছে সাদিক অ্যাগ্রো। যা ধরা পড়ে দুদকের গত ১ জুলাইয়ের অভিযানে। সেখানে সাতটি ব্রাহমা জাতের বাছুর উদ্ধার হয়। যা সাদিক অ্যাগ্রোর অবৈধ প্রজননের প্রমাণ।

আরও পড়ুন:

দুদক কর্মকর্তারা জানান, ব্রাহমা গরু নিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নিলেও সাদিক অ্যাগ্রো কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সাভার গো-প্রজনন কেন্দ্র, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এ কারণে সাদিক অ্যাগ্রোর পাশাপাশি সরকারি এই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদেরও তদন্তের আওতায় আনছে দুদক।

এসএম/এসএইচএস/এমএস