ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

প্রশ্নফাঁস

বরখাস্ত ৫ কর্মীর বিষয়ে তদন্ত করতে দুদকে চিঠি দিলো পিএসসি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:৩৮ পিএম, ১০ জুলাই ২০২৪

নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে ৫ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিষয়ে তদন্ত করতে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।

বুধবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যায় পিএসসি থেকে দুদক সচিব বরাবর এ চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে সই করেন পিএসসির প্রশাসন শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব জামিলা শবনম।

গত ১২ বছরে অন্তত ৩০টি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশের পর ৯ জুলাই পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করে পিএসসি। পরে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ, হয়েছে মামলাও। এবার তাদের বিষয়ে তদন্ত করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে চিঠি দিলো সংস্থাটি।

অভিযুক্ত পাঁচজন হলেন- উপ-পরিচালক মো. আবু জাফর ও জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক এস এম মো. আলমগীর কবির এবং পিএসসির কর্মচারী ডেসপাস রাইডার খলিলুর রহমান ও অফিস সহায়ক সাজেদুল ইসলাম।

দুদকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র অবৈধ উপায়ে সংগ্রহ, পরীক্ষার পূর্বে প্রশ্নপত্র প্রকাশ এবং বিতরণ করে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারী হিসেবে অপরাধ সংঘটনে জড়িত থাকার অভিযোগে কর্ম কমিশনের ৫ জনসহ অন্যান্যকে আসামি করে পল্টন থানায় মামলা হয়েছে। এদের মধ্যে ৫ জন কর্মচারী গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে জেলে আছেন।’

এতে আরও বলা হয়, ‘তাছাড়া, তাদের নিজ নামে ও তাদের পরিবারের সদস্যের নামে অসাধু উপায়ে অর্জিত ও তাদের জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির দখলে রয়েছেন বা মালিকানা অর্জন করেছেন মর্মে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে এবং হচ্ছে। এভাবে অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির মালিকানা অর্জন দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর তফসিলভুক্ত অপরাধ হওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক তদন্তপূর্বক উপযুক্ত আদালতে বিচারার্থ মামলা দায়ের করার লক্ষ্যে সাক্ষ্য প্রমাণাদি সংগ্রহের ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। তাই এসব অভিযোগ তদন্ত করে কমিশনকে অবহিত করতে অনুরোধ করা হলো।’

চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমান বলেন, যেহেতু তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য আসছে। ফলে এগুলো অধিকতর তদন্ত ও তথ্য সংগ্রহের জন্য দুদকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এসব বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করেছে পিএসসি। তাদের বিষয়ে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি নাম গোপন করে তথ্য দিতে চায় তারাও পিএসসিতে জানতে পারবে।

এসএম/কেএসআর/জেআইএম