হাইওয়ে পুলিশ
জরিমানার টাকা পরিশোধ করলেই ডাক বিভাগে পৌঁছে যাবে গাড়ির কাগজ
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পরিবহনের চালক বা সহযোগী মামলার জরিমানা তাৎক্ষণিক পরিশোধ করতে পারেন না। সেবার মান উন্নয়ন ও সেবা সহজীকরণের লক্ষ্যে সেবাপ্রত্যাশীরা যেন ঘরে বসেই মামলায় জব্দ করা গাড়ির কাগজপত্র ডাক বিভাগের মাধ্যমে পেতে পারে সেজন্য একটি উদ্যোগ নিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ।
সোমবার (৮ জুলাই) রাজধানীর উত্তরার হাইওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে ডাক বিভাগ অধিদপ্তর ও হাইওয়ে পুলিশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। অনুষ্ঠানে হাইওয়ে পুলিশ প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন খান ও ডাক বিভাগের পোস্টমাস্টার জেনারেল কেন্দ্রীয় সার্কেল মো. ফরিদ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় হাইওয়ে পুলিশ প্রধান শাহাবুদ্দিন খান বলেন, প্রতিষ্ঠাকাল থেকে হাইওয়ে পুলিশ মহাসড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ২০২৩ সালে মহাসড়কে ট্রাফিক আইন অমান্য করার কারণে হাইওয়ে পুলিশ ২ লাখ ৯০৭টি মামলা দেয়। এছাড়া চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ১ লাখ ৩ হাজার ১৪২টি মামলা দেয়। মহাসড়কে মূলত দূরপাল্লার পণ্য ও যাত্রী বহনকারী যানবাহনের সংখ্যাই বেশি, যা দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত চলাচল করে। এসব যানবাহনে মামলা দেওয়া হলে হাইওয়ে পুলিশ বিধিবদ্ধভাবে সংশ্লিষ্ট গাড়ির কাগজপত্র জব্দ করে।
তিনি বলেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পরিবহনের চালক বা হেলপার মামলার জরিমানা তাৎক্ষণিক পরিশোধ করতে পারেন না। সে ক্ষেত্রে কেস স্লিপে উল্লেখিত সময়ের মধ্যে জরিমানা দেওয়া সাপেক্ষে পরিবহনের মালিক বা প্রতিনিধি জব্দকৃত কাগজ সংশ্লিষ্ট রিজিয়ন থেকে সংগ্রহ করেন। এতে দূরবর্তী এলাকার পরিবহন মালিকদের অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
ফলে পরিবহনের মালিকরা নির্ধারিত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জরিমানার টাকা পরিশোধ করার সঙ্গে সঙ্গে জব্দকৃত কাগজপত্র ডাক বিভাগের মাধ্যমে নির্দিষ্ট গন্তব্যে দ্রুততম সময়ে পেয়ে যাবেন।
এতে পরিবহন মালিকদের ভোগান্তি যেমন কমবে তেমনি আর্থিকভাবে সাশ্রয়সহ সময়ের অপচয় রোধ হবে। একই সঙ্গে আইন প্রয়োগে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে বলেও মনে করেন হাইওয়ে পুলিশ প্রধান শাহাবুদ্দিন খান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি মাহ্ফুজুর রহমান, ডিআইজি আতিকা ইসলাম, ডাক অধিদপ্তর মো. জাকির হাসান নূর, পরিচালক ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেল সংযুক্ত মো. শাহ আলম ভূঁইয়াসহ হাইওয়ে পুলিশ ও ডাক বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
টিটি/এমআইএইচএস/এমএস