ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা উত্তর সিটির

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৬:০১ পিএম, ০৭ জুলাই ২০২৪

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ৫ হাজার ৫৯৪ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার (৭ জুলাই) করপোরেশনের বাজেট সভায় সর্বসম্মতভাবে এ বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়।

দুপুরে রাজধানীর গুলশান-২ এ নগর ভবনের হলরুমে দ্বিতীয় পরিষদের ২৯তম করপোরেশন সভা ও বাজেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটও অনুমোদন দেওয়া হয়।

সভায় জানানো হয়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১ হাজার ৭৮ কোটি টাকা রেকর্ড রাজস্ব আদায় হয়েছে ডিএনসিসির। গত চার বছরে রাজস্ব আদায় ৭৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

সভার শুরুতে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম সূচনা বক্তব্য দেন। পরে ডিএনসিসির প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. বরকত হায়াত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেন। এসময় উপস্থাপিত সংশোধিত বাজেট এবং নতুন বাজেট সভায় সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন পায়।

সভায় সভাপতির বক্তৃতায় মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ছিল সিটি করপোরেশনকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে, সিটি করপোরেশনের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা ডিএনসিসির সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছি। নিজের পায়ে দাঁড়াতে হলে রাজস্ব আয়বৃদ্ধির বিকল্প নেই। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছি। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ডিএনসিসির মোট বাজেটের ৫৩ শতাংশ ব্যয় নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দেওয়া হবে। মোট ব্যয়ের অর্ধেকের বেশি বহন করা হবে ডিএনসিসির নিজস্ব তহবিল থেকে।

তিনি বলেন, কর হার বৃদ্ধি না করেও রাজস্ব আদায়ে নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করেছে ডিএনসিসি। অনালাইনে হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহের ফলে রাজস্ব আদায় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। নগরবাসী ঘরে বসেই অনলাইনে ডিএনসিসির হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করতে পারছে। ফলে নাগরিক ভোগান্তি কমেছে। অনলাইন পদ্ধতির ফলে দুর্নীতি ও অনিয়ম রোধ করা সম্ভব হয়েছে। নিশ্চিত হয়েছে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা।

সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা উত্তর সিটির

২০১৯-২০, ২০২০-২১, ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থবছরে যথাক্রমে ডিএনসিসির রাজস্ব আদায় ছিল ৬১২ কোটি, ৬৯২ কোটি, ৭৯৪ কোটি ও এক হাজার ৫৮ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছিল। গত চার বছরে ডিএনসিসির রাজস্ব আদায় প্রায় ৭৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে উল্লেখযোগ্য খাত হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ ৫১৭ কোটি ৮৫ লাখ, ট্রেড লাইসেন্স ফি বাবদ ৭৪ কোটি ৯৬ লাখ, সম্পত্তি হস্তান্তর কর বাবদ ২৮০ কোটি, সড়ক খনন ফি বাবদ ১০৪ কোটি ৭৯ লাখ, গরুর হাটের ইজারা বাবদ ৩২ কোটি ৭৭ লাখ, বিজ্ঞাপন ফি বাবদ ১০ কোটি ৫৯ লাখ টাকা রাজস্ব আয় করেছে ডিএনসিসি।

বাজেটে তিনটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, সুস্থ, সচল, আধুনিক স্মার্ট ডিএনসিসি গড়তে বাজেটে তিনটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এক. জনস্বাস্থ্য রক্ষা; দুই. জলাবদ্ধতা নিরসন; তিন. জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা। জনস্বাস্থ্য রক্ষায় ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করে পরিচ্ছন্ন শহর গড়তে ডিএনসিসির বাজেটে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং খাল উদ্ধারপূর্বক খালের উন্নয়ন তরান্বিত করা হবে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়নসহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিকের সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান, ডিএনসিসির সব বিভাগীয় প্রধান ও ডিএনসিসির কাউন্সিলররাসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এমএমএ/ইএ/জিকেএস