ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

টোল প্লাজা ভাঙচুর করা পুলিশ কর্মকর্তাকে ‘নিম্ন বেতন গ্রেডে অবনমন’

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:১১ পিএম, ০৪ জুলাই ২০২৪

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতুর টোল প্লাজা ভাঙচুর এবং কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পদমর্যাদার এক কর্মকর্তাকে সাজা দিয়েছে সরকার। তার নাম মশিয়ার রহমান। সর্বশেষ তিনি মিরসরাই সার্কেলের এএসপি ছিলেন।

২০১৮ সালে সেতুর টোল প্লাজা ভাঙচুরের ঘটনায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়। তবে সেখানে প্রায় এক বছর কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন তিনি। পৃথক দুটি ঘটনায় পুলিশের এ কর্মকর্তাকে পাঁচ বছর ও দুই বছর করে ‘নিম্ন বেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ’ শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পৃথক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৩ আগস্ট অনুমতি ছাড়া সরকারি গাড়ি নিয়ে কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতুতে দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধর করেন। টোল প্লাজার বক্সের গ্লাস ভাঙচুর করেন। টোল ছাড়া নিজেই বেশকিছু গাড়ি ছেড়ে দেওয়ার সুযোগ করে দেন। যা সেখানে থাকা সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে।

এ ঘটনায় মশিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হলে তাকে সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়।

পুলিশ কর্মকর্তার এমন কাণ্ডে গঠিত তদন্ত কমিটি ঘটনার সত্যতা পায়। পরে তার বিরুদ্ধে ‘অসদাচরণ’-এর অভিযোগ এনে দুই বছরের জন্য ‘নিম্ন বেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ’ গুরুদণ্ড দেওয়া হয়।

দণ্ড চলাকালে জন্য তিনি কোনো বকেয়া আর্থিক সুবিধা পাবেন না বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।

এছাড়া পৃথক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এএসপি মশিয়ার রহমান সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত থাকাকালে ২০২০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে পরের বছরের ২৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১১ মাস কর্মস্থলে বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত থাকায় পলায়নের অভিযোগ এনে বিভাগীয় মামলা করা হয়। যার দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে তার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আগামী পাঁচ বছরের জন্য তাকে ‘বেতন গ্রেডের নিম্নতর ধাপে অবনমিতকরণ’ লঘুদণ্ড দেওয়া হলো।

তিনি ভবিষ্যতে ওই পাঁচ বছরের কোনো বকেয়া আর্থিক সুবিধা পাবেন না এবং ওই মেয়াদে বেতন বৃদ্ধির জন্য গণনা করা যাবে না বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

টিটি/এমকেআর/জেআইএম