রাউজানে কবিরাজ সুলাল হত্যা মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রামের রাউজানে কবিরাজ সুলাল চৌধুরী হত্যা মামলায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৩ জুলাই) চট্টগ্রাম তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এইচ এম শফিকুল ইসলাম এক রায়ে এ আদেশ দেন।
রায়ে আসামি মিঠু চৌধুরী ওরফে মিন্টু চৌধুরী, সুমন চৌধুরী, মো. দেলোয়ার হোসেন এবং মো. এরশাদ হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড এবং প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
অন্যদিকে আসামি সুদীপ চৌধুরী ওরফে সঞ্জীব চৌধুরীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন বিচারক।
রায়ে এজাহারনামীয় আসামি মো. ইলিয়াছ ইলুর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।
রায়ের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম জেলা পিপি অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী।
মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২৫ জুন দিনগত রাতে রাউজানের যুগীর হাট থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার সময় পথে কবিরাজ সুলাল চৌধুরীকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ২৭ জুন নিহতের ছেলে সৌরভ চৌধুরী বাদী হয়ে মো. ইলিয়াছ ইলুকে এজাহারনামী এবং আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে রাউজান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর পুলিশ মামলার এজাহারনামীয় আসামি ইলিয়াছ ইলু, সন্ধিগ্ধ আসামি মিঠু চৌধুরী, সুমন চৌধুরী, সঞ্জীব চৌধুরী এবং দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করে। এসময় গ্রেফতার সঞ্জীব চৌধুরী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তার জবানবন্দিতে অন্য আসামির সাথে মো. এরশাদ হোসেনের নাম উঠে আসে।
তবে মামলার পর এরশাদ হোসেন পলাতক ছিলেন। ওই মামলার তদন্ত শেষে একই বছরের ২৭ ডিসেম্বর ৬ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। অভিযোগপত্রে ২০ জনকে সাক্ষী করা হয়। বিচার চলাকালে ১৫ জনের সাক্ষ্য নেন আদালত।
চট্টগ্রাম জেলা পিপি অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে রাউজানে সুলাল চৌধুরী নামের এক কবিরাজকে হত্যা করা হয়। ওই মামলায় অভিযোগপত্রে ৬ আসামির মধ্যে চারজনকে ফাঁসিকে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মামলায় এজাহারনামীয় আসামি ইলিয়াছ ইলুর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেন বিচারক।
রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দেলোয়ার হোসেন এবং যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত সঞ্জীব চৌধুরী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয়। পাশাপাশি মৃত্যুদণ্ড পাওয়া তিন জনের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা মূলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
এমডিআইএইচ/এমআইএইচএস