ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে তাঁতিবাজার মোড় অবরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৬:০৩ পিএম, ০৩ জুলাই ২০২৪

সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে ও চার দফা দাবি বাস্তবায়নে রাজধানীর পুরান ঢাকার তাঁতিবাজার মোড় অবরোধ করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও কবি নজরুল কলেজ ও সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৩ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য কলেজের শিক্ষার্থীরা একটি মিছিল নিয়ে তাঁতিবাজার মোড়ে অবরোধ করেন। সেখানে অস্থান নিয়ে তারা কোটাবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। সেখানে তারা এক ঘণ্টা অবস্থান নিয়ে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাঁতিবাজার মোড় ত্যাগ করেন।

কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে তাঁতিবাজার মোড় অবরোধ

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’, ‘জেগেছে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছে’, ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’, আঠারোর হাতিয়ার’ গর্জে উঠো আরেকবার’, কোটা প্রথা নিপাত চাই, মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘শেখ হাসিনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘মেধাবীরা ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’ স্লোগান দেয়।

আরও পড়ুন

এ সময় সানাউল্লাহ সাজিদ নামের একজন শিক্ষার্থী বলেন, কোটা প্রথার বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন ২০১৮ সালে সরকার দাবি মেনে নিলেও আবার ওটা চালু করেছে। পহেলা জুলাই থেকে আমরা লাগাতার আন্দোলন করছি, দাবি মানা না হলে এ আন্দোলন চলবে।

আরেক শিক্ষার্থী জসিম উদ্দিন বলেন, আন্দোলন যতদিন না সফল হবে, ততদিন আমরা ঘরে ফিরবো না। শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এ আন্দোলন অবশ্যই সফল হবে।

কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে তাঁতিবাজার মোড় অবরোধ

মেহেরুন্নেছা নামে এক নারী শিক্ষার্থী বলেন, বাংলাদেশসহ পৃথিবীর কোথাও নারীরা কোনো অংশে পিছিয়ে নেই। তাই প্রাথমিকে নারীদের জন্য ৬০ শতাংশ কোটাসহ সব ধরনের কোটার বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাবো।

এ সময় শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি জানান

এক. ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে।

দুই. ‘১৮-এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সরকারি চাকরিতে (সব গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী শুধু অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।

তিন. সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে।

চার. দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

আরএএস/এমআরএম/এমএস