ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

আয়কর ফাঁকির অর্থ দিয়ে কয়েকটি পদ্মা সেতু বানানো সম্ভব

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:২৪ পিএম, ২৯ জুন ২০২৪

বাংলাদেশে বার্ষিক আয়কর ফাঁকির পরিমাণ প্রায় দুই লাখ ৯২ হাজার কোটি টাকা, যা দিয়ে মাথাপিছু স্বাস্থ্য বরাদ্দের চারগুণ বাড়ানো সম্ভব কিংবা কয়েকটি পদ্মা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব বলে মন্তব্য করছেন নাগরিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা৷

শনিবার (২৯ জুন) ঢাকার ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তারা৷ এসময় অসহনীয় দুর্নীতি বন্ধে একটি সরকারি ব্যয় পর্যালোচনা কমিশনের দাবি উত্থাপন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপনকালে কোস্ট ফাউন্ডেশনের পরিচালক মো.আহসানুল করিম বাবর কয়েকটি দাবি উত্থাপন করেন যার মধ্যে রয়েছে, দুর্নীতি বন্ধে একটি পাবলিক এক্সপেন্ডিচার রিভিউ কমিশন গঠন করতে হবে। বাংলাদেশের অর্থনীতি দুই প্রধান উদ্বেগ পুঁজিপাচার ও কালো টাকা বন্ধে একটি আন্তঃদেশীয় ব্যাংক স্বচ্ছতা চুক্তি চালু করা৷ দ্বৈত নাগরিকত্বের অধিকারী নাগরিকদের প্রতি বছর সম্পদ এবং ব্যাংক বিবরণী জমা দেওয়া৷ ঋণদাতা সংস্থার শর্ত হিসেবে জনসেবা খাতে ভর্তুকি হ্রাস করার পরিবর্তে সরকারকে অপ্রয়োজনীয় এবং অযৌক্তিক সরকারি ব্যয় বন্ধ করা৷

সংবাদ সম্মেলন ইক্যুইটিবিডি’র চিফ মডারেটর রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, সরকার যদি আয়কর ফাঁকি দেওয়া বন্ধ করতে পারে, যা বার্ষিক প্রায় দুই লাখ ৯২ হাজার কোটি টাকা বা ২৫ বিলিয়ন ডলার, তাহলে সেই টাকা দিয়ে দরিদ্র মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি দ্বিগুণ করা যায় বা মাথাপিছু স্বাস্থ্য বরাদ্দ চারগুণ বাড়ানো যেত।

তিনি আরও বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের বার্ষিক ভিত্তিতে সম্পদের বিবরণী দাখিল করতে হবে, দুর্নীতি ধরা পড়লে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের এএসএম বদরুল আলম বলেন, যে আইএফএম সম্প্রতি বাংলাদেশকে সাড়ে চার বিলিয় ডলার ঋণ দিয়েছে৷ তারা সরকারকে জনস্বার্থে দেওয়া বিদ্যুৎ ভর্তুকি বন্ধ করার শর্ত আরোপ করছে। কিন্তু তারা অপ্রয়োজনীয় এবং অযৌক্তিক সরকারি ব্যয় বন্ধ করার পরামর্শ দিচ্ছে না।

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী বলেন, জনগণের কল্যাণে বরাদ্দ সরকারের ভর্তুকি কমানো উচিত হবে না বরং সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জীবনমান বাড়াতে পানি, স্বাস্থ্য, বিদ্যুতের মতো জীবনরক্ষাকারী সেবায় সরকারের আরও বেশি ভর্তুকি প্রদান করা উচিত।

ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের মিজানুর রহমান বলেন, দুর্নীতি ও কালো টাকা বন্ধে যাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তারাই প্রচুর সম্পদ ও অর্থ নিয়ে দেশ ছেড়েছেন।

এনডিএফের ইবনুল সৈয়দ রানা বলেন, পুঁজি পাচার ও দুর্নীতি বন্ধে আওয়াজ তোলার এখনই সময়। ইক্যুইটিবিডি এবং সমমনা সংগঠন, বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশন, সিএসআরএল, এনডিএফ, সুন্দরবন সুরক্ষা আন্দোলন, তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থা এবং ওয়াটার কিপার্স বাংলাদেশর যৌথ আয়োজনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এনএস/জেএইচ/জেআইএম