ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ভূমি অধিগ্রহণ ও দখল পেতে সময় লেগেছে: পূর্বাচল নিয়ে পূর্তমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:৫০ পিএম, ২৬ জুন ২০২৪

‘পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প’ নিয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, ভূমি অধিগ্রহণ এবং সরেজমিনে ভূমির দখল বুঝে পেতে দীর্ঘসময় প্রয়োজন হয়েছে। প্রকল্পের বাস্তবায়ন মেয়াদ চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারিত রয়েছে। এসময়ের মধ্যে সবকাজ সম্পন্নের লক্ষ্যে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) তৎপরতা অব্যাহত আছে।

তিনি বলেন, বৈশ্বিক করোনা মহামারির কারণে ঘোষিত সাধারণ ছুটি ও লোকবলের অভাবে দীর্ঘদিন কাজের অগ্রগতি মন্থর ছিল।

বুধবার (২৬ জুন) জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে নেত্রকোনা-১ আসনের সংসদ সদস্য মোশতাক আহমেদ রুহীর লিখিত প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান মন্ত্রী। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

প্রকল্পের উন্নয়নকাজ বিলম্বের কারণ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রকল্প এলাকার অধিবাসী বা ক্ষতিগ্রস্ত জনগণ শুরুতে ভুল বুঝে মামলা-মোকাদ্দমা করে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায়। পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় উন্নয়নকাজ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক প্লট বরাদ্দ নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান থাকায় ওই প্লট বরাদ্দ কার্যক্রম বিলম্বের কারণে শহরায়ন বিলম্বিত হচ্ছে। প্রকল্প এলাকায় মসজিদ, মন্দির, স্কুল, কলেজ ইত্যাদি স্থাপনা বিদ্যমান থাকায় এবং ওই স্থাপনাগুলোতে নির্ধারিত স্থানে স্থানান্তরে স্থানীয় বাধার কারণে উন্নয়নকাজে বিলম্ব হয়েছে।

অপর এক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ স্বল্প ও মধ্যম আয়ের মানুষের আবাসন নিশ্চিত করার প্রচেষ্টায় ঢাকাসহ সমগ্র দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ এবং প্লট নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে থাকে। দুর্গাপুর উপজেলায় অনুমোদিত মাস্টারপ্ল্যানে চিহ্নিত আবাসিক জোনে পরিবেশবান্ধব ও অধিগ্রহণে বাধামুক্ত নিষ্কণ্টক অনাবাদী জমি প্রাপ্তিসাপেক্ষে ও সম্ভাব্যতা সমীক্ষাতে উপযোগী প্রতীয়মান হলে হরিজন সম্প্রদায়ের আবাসনের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকারি বরাদ্দ প্রাপ্তিসাপেক্ষে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্প নেওয়ার সুযোগ আছে।

আইএইচআর/এমএএইচ/জিকেএস