ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ফরিদপুর আওয়ামী লীগ

রাসেলস ভাইপার ধরতে পারলে ‘৫০ হাজার টাকা পুরস্কার’ প্রত্যাহার

জেলা প্রতিনিধি | ফরিদপুর | প্রকাশিত: ০৯:২৪ পিএম, ২৩ জুন ২০২৪

রাসেলস ভাইপার সাপ জীবিত অবস্থায় ধরতে পারলে যে পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছিল সেটি প্রত্যাহার করেছে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ।

রোববার (২৩ জুন) ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ আলী আশরাফ পিয়ার স্বাক্ষরিত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

এর আগে ২০ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সংক্রান্ত আলোচনাসভায় জেলার নেতারা জনস্বার্থে রাসেলস ভাইপারের প্রাদুর্ভাব ও করণীয় নিয়ে আলোচনা করেন। সেখানে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক ও সাধারণ সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ ইশতিয়াক আরিফ ঘোষণা দেন, যদি কেউ নিজেকে রক্ষাকারী পোশাক সম্বলিত হয়ে এবং সাবধানতা অবলম্বন করে জনস্বার্থে রাসেলস ভাইপার জীবিত অবস্থায় ধরতে পারেন তাকে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।

এ ঘোষণার পরে বিভিন্ন মিডিয়ায় খবর ছড়িয়ে পড়ে। পুরস্কার পেতে বিভিন্ন জায়গায় সাপ মারার উৎসাহ বাড়তে থাকে। সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের দুর্গম চরের ৩৮ দাগ এলাকায় শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে জমিতে ঘাস কাটার সময় একটি রাসেলস ভাইপার সাপ দেখতে পেয়ে সেটি লাঠি দিয়ে বাড়ি মেরে মেরে ফেলেন ওই গ্রামের মুরাদ মোল্লা (৪৩) নামে একজন কৃষক। এরপর তিনি সাপটি পদ্মা পাড়ি দিয়ে সিঅ্যান্ডবি ঘাটে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আনোয়ার হোসেন আবু ফকিরের অফিসে নিয়ে আসেন। আবু ফকির তখন সাংবাদিকদের জানান, মুরাদ মোল্লাকে সভাপতি ঘোষিত পুরস্কার দেওয়া হবে।

তবে জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা এই পুরস্কার ঘোষণার পরে বন বিভাগ থেকে এটি আইনসিদ্ধ নয় বলে সমালোচনা করা হয়। এরপর অবশ্য জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়- জীবিত অবস্থায় রাসেল ভাইপার ধরতে পারলে পুরস্কার দেওয়া হবে।

শনিবার সকালে পদ্মার চর থেকে একটি জীবিত রাসেল ভাইপার সাপ ধরেন রেজাউল নামে এক যুবক। সন্ধ্যায় পাতিলের মধ্যে একটি জীবিত সাপ নিয়ে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে হাজির হন সদর উপজেলার আলিয়াবাদ ইউনিয়নের কাদেরের বাজার এলাকার রেজাউল নামে এক ব্যক্তি।

রেজাউল বলেন, নেতারা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন। এজন্য রিস্ক নিয়ে ধরছি। এখন বন বিভাগে জমা দিতে আসছি। তবে রোববার দুপুরে ফরিদপুরের বন বিভাগের অফিসে সাপটি নিয়ে গেলে তাকে সাপসহ ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

ফরিদপুরের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা গোলাম কুদ্দুস ভূঁইয়া বলেন, ‘এ ধরনের পুরস্কার ঘোষণা করাই তো অবৈধ। মানুষকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলা। আমরা এটা প্রমাণ করতে যাবো কেন? ওই কৃষকের উচিত হবে যেখান থেকে সাপটি ধরেছে ওই স্থানে ছেড়ে দেওয়া।’

এন কে বি নয়ন/এএসএ/জেআইএম