ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ঈদযাত্রা

গাবতলীতে বেড়েছে যাত্রীর চাপ, ১৭০ টাকার ভাড়া ৪০০

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:৫৯ পিএম, ১৫ জুন ২০২৪

ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে ঘরমুখো যাত্রীর চাপ বেড়েছে। শ্যামলী, জিআর, গোল্ডেন লাইন, এসবি, চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স রয়েল ও পূর্বাশার মতো পরিবহনে মিলছে না টিকিট। অনেকেই সরাসরি যানবাহন না পাওয়ায় ভেঙে ভেঙে মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মাগুরা ও যশোরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।

গাবতলী থেকে পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত বাসের ভাড়া ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। তবে এ রুটে সেলফি পরিবহন যাত্রীপ্রতি নিচ্ছে ৪০০ টাকা। গাবতলী থেকে সাটুরিয়া পর্যন্ত ১৭০ টাকা ভাড়া হলেও যাত্রীদের কাছ থেকে ৪০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।

শনিবার (১৫ জুন) গাবতলী বাস টার্মিনাল ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। পাবনাগামী যাত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, তিনি নিয়মিত গাবতলী থেকে পাটুরিয়া হয়ে পাবনা যান। অন্যান্য সময় ১৭০ টাকা ভাড়া হলেও ঈদ উপলক্ষে ৪০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।

ঈদযাত্রা, গাবতলীতে বেড়েছে যাত্রীর চাপ, ১৭০ টাকার ভাড়া ৪০০

বাড়তি ভাড়া নেওয়ার যুক্তি দেখিয়ে সেলফি বাসের কন্ট্রাক্টর বলেন, তেলের গাড়ি, তাই ভাড়া বেশি। ঘাট থেকে গাড়ি খালি আসবে আমরা কী করবো।

নগরীর অভ্যন্তরীণ চলাচলকারী অধিকাংশ পরিবহনে এক দূরপাল্লার যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছাড়ছে। এসব বাসও বাড়তি ভাড়া আদায় করছে। মূলত দূরপাল্লার পরিবহনে সিট খালি না থাকায় বাড়তি ভাড়া আদায় করছে সেলফি পরিবহন।

রংপুরগামী যাত্রী মশিউর রহমান। একটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নির্মাণ খাতে চাকরি করেন। শনিবার সকালে ছুটি পেয়ে বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে গাবতলী বাস টার্মিনালে এসেছেন।

ঈদযাত্রা, গাবতলীতে বেড়েছে যাত্রীর চাপ, ১৭০ টাকার ভাড়া ৪০০

কয়েক ঘণ্টা টিকিট কাটার চেষ্টা করেও ব্যর্থ মশিউর রহমান বলেন, অনেকক্ষণ ধরে টিকিট কাটার চেষ্টা করছি। কিন্তু কাউন্টারগুলোতে সিট খালি না।কাউন্টার থেকে জানা যায়, দুইটার পর থেকে হঠাৎ করেই গাড়ির চাপ বাড়ছে।

গাবতলী শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা গাড়িতে কোনো সিট ফাঁকা নেই, তাই টিকিট বিক্রি বন্ধ রেখেছি। শনিবার দুইটার পরে হঠাৎ চাপ বাড়ছে। কারণে অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি শনিবার অফিস করিয়ে ছুটি দিয়েছে। এসব যাত্রীর ভিড় বাড়ছে।

পোশাক কারখানা ছুটি হওয়ার কারণে চাপ বেড়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। যেমন ঢাকা-মোংলাগামী কমফোর্ট পরিবহনে একটি টিকিটও অবিক্রিত নেই। কমফোর্ট পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার মোহাম্মদ সুমন বলেন, পোশাক কারখানা ছুটি হয়েছে। ফলে হঠাৎ যাত্রীর চাপ বাড়ছে। আমাদের সব টিকিট বিক্রি শেষ হয়েছে।’

এমওএস/এমএএইচ/জেআইএম