ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

খাবার কিনতে লঞ্চঘাটে বাবা

শিশুকে নিয়ে ছেড়ে গেলো লঞ্চ, ৯৯৯-এ কলে উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:৫৬ পিএম, ১৩ জুন ২০২৪

যাত্রাপথে লঞ্চে শিশুকে রেখেই খাবার ও পানি কিনতে মুন্সিগঞ্জ ঘাটে নামেন বাবা বোরহানউদ্দীন। এমন সময় হঠাৎ লঞ্চটি মুন্সিগঞ্জ থেকে ছেড়ে যায়। শিশুটির বাবা চিৎকার করেও লঞ্চটি থামাতে পারেননি। এসময় শিশুর বাবা দিশেহারা হয়ে জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ এ ফোন করেন। পরে ৯৯৯ কর্তৃপক্ষ শিশুটিকে ওই লঞ্চ থেকে উদ্ধারের ব্যবস্থা করে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ৯৯৯-এর পুলিশ পরিদর্শক (গণমাধ্যম ও জনসংযোগ কর্মকর্তা) আনোয়ার সাত্তার এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, মুন্সিগঞ্জ লঞ্চঘাট থেকে বোরহানউদ্দীন নামে একজন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জানান, সকাল ৯টায় তিনি তার মাদরাসা পড়ুয়া ১১ বছরের ছেলে ইমাম হোসেনকে নিয়ে সদরঘাট থেকে আবে-জমজম লঞ্চে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। ঈদের ছুটিতে মাদরাসা বন্ধ হওয়ায় ছেলেকে চাঁদপুরের ফরিদ্গঞ্জের বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু যাত্রাপথে ছেলেকে লঞ্চে রেখেই মুন্সিগঞ্জ লঞ্চঘাটে নামলে তিনি আর লঞ্চে উঠতে পারেননি। কিন্তু ছেলেটি লঞ্চেই থেকে যায়। এসময় ৯৯৯ এ ফোন করে সহায়তা চান বোরহানউদ্দীন।

কলটি রিসিভ করেছিলেন কনস্টেবল নাসিমা আক্তার। দ্রুতই কনস্টেবল নাসিমা এবং টিম মেন্টর কনস্টেবল হাসি আক্তার বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেন। তারা ভুক্তভোগী বোরহানউদ্দীনকে আশ্বস্ত করেন এবং তাকে পরবর্তী লঞ্চে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিতে বলেন। তারা জানান ছেলেটি উদ্ধারের জন্য ৯৯৯ কর্তৃপক্ষ সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার বলেন, ৯৯৯ কর্তৃপক্ষ প্রথমে সদরঘাট নৌ-পুলিশ থানার সহায়তায় আবে-জমজম লঞ্চটির সুপারভাইজারের ফোন নম্বর সংগ্রহ করে এবং তাকে ফোন করে ছেলেটির বর্ণনা দিয়ে খুঁজে বের করতে বলে।

সুপারভাইজার তখন জানান, ঈদযাত্রীতে পরিপূর্ণ লঞ্চে অত্যধিক যাত্রীর চাপ, তারপরও তিনি সাধ্যমতো চেষ্টা করবেন। এরই মধ্যে চাঁদপুর নৌ-পুলিশ থানায় বিষয়টি জানানো হয়। তাদের একটি টিম প্রস্তুত থাকে লঞ্চটি চাঁদপুর পৌঁছালে লঞ্চে অনুসন্ধান চালানোর জন্য। প্রায় ২০ মিনিট পর লঞ্চের সুপারভাইজার জানান, তিনি ছেলেটি খুঁজে পেয়েছেন। ৯৯৯ টিম শিশুটি তার হেফাজতে রাখতে বলে এবং চাঁদপুর পৌঁছে নৌ-পুলিশের টিমের কাছে হস্তান্তর করতে বলা হয়। সংশ্লিষ্ট নৌ-পুলিশ টিম, কলার ও লঞ্চ সুপারভাইজারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছিলেন ৯৯৯ ডিসপাচার এএসআই মোশাররফ হোসেন।

দুপুর প্রায় ১টার দিকে লঞ্চটি চাঁদপুর পৌঁছালে চাঁদপুর নৌ-পুলিশ থানার টিম শিশুটি তাদের হেফাজতে নেয়। এরপর পৌনে ২টার দিকে শিশুটির বাবা চাঁদপুর পৌঁছালে তার কাছে ছেলে ইমাম হোসেনকে হস্তান্তর করা হয়।

টিটি/এসআইটি/জেআইএম